নাম বিভ্রাট ! আর এর জন্যে দিনের পর দিন খেসারত দিতে দিচ্ছে এক মহিলাকে । অসমে এন আর সি নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন একের পর এক জনসাধারণ ।
নাম বিভ্রাটের জন্যে অসমের চিরাং জেলার বিজনি মহকুমার অন্তর্গত ১ নং বিষ্ণুপুর গ্রামের এক মহিলা তিন বছর ধরে বিনা অপরাধে কোকরাঝার ডিটেনশ্যন ক্যাম্পের আবর্জনার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছেন ।
উল্লেখ্য, উপযুক্ত সমস্ত প্রমাণ-পত্র থাকার পরেও ৫৯ বছর বয়স্ক মধুবালা মণ্ডল নামক ভারতীয় এই মহিলাকে বিদেশি ন্যায়াধীকরণ ২০১৬ সালে ডিটেনশ্যন ক্যাম্পে প্রেরণ করার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে ।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ১ নং বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা মাখন নমঃ দাসের স্ত্রী মধুবালা দাসের নামে বিদেশি ন্যায়াধীকণ আদালতে বিদেশি নোটিশ জারি করা হয় । কিন্তু মাখন নমঃ দাস এবং তাঁর স্ত্রী মধুবালা দাসের মৃত্যু বহু বছর পূর্বেই ঘটেছে ।
এর পরের ঘটনা সবচাইতে আশ্চর্যজনক ! মধুবালা যেন মরেও মরল না !
বিদেশি ন্যায়াধীকরণ আদালত মধুবালা দাসের নামে জারি করা বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে গ্রামের বাসিন্দা নেপাল মণ্ডলের কন্যা , রমাকান্ত মণ্ডলের স্ত্রী মধুবালা মণ্ডলকে ডিটেনশ্যন ক্যাম্পে প্রেরণ করে ।
স্থানীয় লোকজন এই মর্মান্তিক ছেলেখেলার ঘটনায় বিজনী মহকুমাধিপতি এবং চিরাং জেলার পুলিশ আধিকারিককে অভিযোগ করেন, কিন্তু এই মর্মে তাঁরা কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ ।
নাম বিভ্রাটের জন্যে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ডিটেনশ্যন ক্যাম্পে বন্দী হয়ে থাকা মধুবালাকে শীঘ্রই মুক্তি দেয়ার জন্যে সরকারের প্রতি একান্ত আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ ।