কলকাতা:আজ মহালয়া (mahalaya) । গোটা শহর জেগে উঠেছে অন্ধকার ভোরে। রেডিওতে এখনো শোনা যায় মহালয়া (mahalaya) । মহালয়ায় (mahalaya) ভোর ভোর ঘুম থেকে ওঠার আনন্দই আলাদা। মহালয়া (mahalaya) আত্মার আনন্দ।
বাচ্চাদের হুল্লোড়, রাস্তায় হাত ধরে হাঁটাহাঁটি। ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।।”
মহালয়ার (mahalaya) ভোরে আপামর বাঙালির (bangali) ঘুম ভাঙে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্র পাঠে। আজও তাই হয়েছে।
শরতের আকাশে পেজা তুলোর মত মেঘ এবং মাঠে-ঘাটে কাশফুল জানান দিচ্ছে মা আসছে। মা দুর্গার (maa durga) আগমনবার্তা গোটা পৃথিবীকে যেন শান্ত করে ফেলেছে।
এদিন উত্তর কলকাতার গঙ্গাঘাটগুলিতে ভোর হতেই ভিড় জমতে শুরু করে তর্পণের জন্য আসামেও (assam mahalaya) এক পরিবেশ।পিতৃপুরুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন। মহিলা পুরুষ সবাই তর্পণ করেন।
শাস্ত্রমতে তর্পণের ফলে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
বাবার জন্য তর্পণের মন্ত্র : গোত্রে অসমতপিতা (পিতার নাম) শর্মা বাসুরূপত ত্রিপ্যতামিদম তিলোদকম গঙ্গা জলম ভা তসমই স্বধা নমঃ, তসমই স্বধা নমঃ, তসমই স্বধা নমঃ।
মায়ের জন্য প্রার্থনার মন্ত্র : গোত্রে অসমানমাতা (মাতার নাম) দেবী বাসুরূপাস্ত ত্রিপ্যতামিদম্ তিলোদকম গঙ্গা জলে তস্মৈ স্বধা নমঃ, তস্মৈ স্বধা নমঃ, তস্মৈ স্বধা নমঃ।