ভারতে লক ডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে নাকি ১৪ এপ্রিল পর্যন্তই তা সীমাবদ্ধ থাকবে? এ বিষয়গুলো এবার ভিন্নভিন্ন ভাবে নাড়া দিচ্ছে রাজ্যবাসীকে।
এ মুহূর্তে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অতিক্রম করেছে ৫ হাজার।
অসমেও এ সংখ্যা বাড়ছে ক্রমে!
এ মুহূর্তে অসমের মধ্যবিত্ত জনগণেরা কী ভাবছেন লক ডাউন সম্পর্কে?
‘নর্থ ইস্ট নাও’কে জানাচ্ছেন গুয়াহাটির এক বাসিন্দাঃ “লকডাউন ইতিমধ্যে অতিক্রম করেছে বেশ কয়েকটি দিন। কিন্তু সমগ্র ভারতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও কমিউনিটি ট্রানসমিশন শুরু হয়নি এখনো। তবে অসমের কথা ভিন্নভাবে বললে, মোট ২৮ জন এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। এর মধ্যে গতকাল বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দিতে নতুন করে একজনের দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তিনি গত ১৮ মার্চ ওমরাহ হজ সেরে দিল্লি হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এছাড়াও বাকি ২৬ জনই নিজামুদ্দিনের জামাতকারি। সুতরাং মোটামুটিভাবে এঁদের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ভিন্ন কেবল গুয়াহাটির স্প্যানিশ গার্ডেনের ঘটনাটি। কারণ মণিশ তিব্রেওয়ালের দেহে ঠিক কোথা থেকে সংক্রমণটি ঘটেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না! সুতরাং উৎস খুঁজে না পাওয়ার এই বিষয়টি আরো বেশি পরিমাণে ভাবিয়ে তুলছে। মধ্যবিত্তদের মুখে সরকার খাবার তুলে দিক দুবেলা দুমুঠো, এবং লক ডাউনের সময়সীমা আরো বৃদ্ধি করা হোক। এছাড়া দেশ, রাজ্যকে বাঁচানোর অন্য কোন পথ নেই।”
এ মুহূর্তে গুয়াহাটি, তিনসুকিয়ার একাংশ জনগণ প্রশাসনের কঠোর শাসন অবজ্ঞা করে বেড়িয়ে পড়ছেন যখন তখন। এভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। বাড়ছে ভীতি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরো এক ব্যক্তি জানাচ্ছেন, “আমরা মধ্যবিত্ত। দিন এনে দিন খাই। কিন্তু সরকারের সমস্ত নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করছি শত কষ্টেও। রাজ্য সরকার আমাদের ঘরে আরো একটু খাবার পৌঁছে দিক। আমরা তেল-নুন দিয়ে ভাত খেয়েই দিন যাপন করবো। তবুও যেন লক ডাউন খোলা না হয়! আমাদের দেশ বাঁচুক। এই দেশকে ইটালি, আমেরিকা হতে দেওয়া যাবে না।” বড় মর্মান্তিক এই বেদনা! বড় মর্মান্তিক এ সময়!
লক ডাউন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন,
“লক ডাউনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সুতরাং রাজ্য সরকার কিংবা অসম সরকার এ বিষয়ে কোন নীতি-নির্দেশনা দেবে না। ডেপুটি কমিশনারদেরও রাজ্য সরকার কোনপ্রকার নির্দেশ দেবে না।”
তিনি আরো বলে, “যেহেতু গত ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলছে, রাজ্য সরকারের নয়, সেজন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি-নির্দেশ মান্য করে চলতে হবে। এবং এই সমস্ত পালন করার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি নির্দেশ দেন যে, অমুক কারখানা খোলা যাবে, কিন্তু কার্যত সেখানে বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হবে। তখন জেলা শাসকরা কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিলেও যে পর্যন্ত সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেলাতে পারবেন না, তখন পর্যন্ত লকডাউন খোলা উচিৎ হবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যদি বলে, নির্দিষ্ট এই দোকানটি খোলা যাবে, অন্যদিকে জেলা শাসকরাও যদি ভেবে থাকেন, এবং তাঁদের আত্মবিশ্বাস থাকে যে, আমরা এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হবো। তখন আপনারা খুলতে পারেন।”
লক ডাউন সম্পর্কে ১৩ এপ্রিল সকালে ক্যাবিনেট বৈঠক হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জানিয়েছেন মন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে অতি গরমের ফলে হিটস্ট্রোকে ৩৭ জন মারা গিয়েছেন।…
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। যাকে রেলের ভাষায় বলা হয়…
মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সপ্তাহটি ভালোই হতে চলেছে। অর্থ উপার্জন হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।…
ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছর সীমাহীন তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরবোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে…
সিংহ: আজকের দিনটি আপনার জন্য নতুন কিছু শেখার দিন হবে। ভাগ্যের দিক থেকে দিনটি ভালোই।…
ঢাকা: বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২৫)…