• About
  • Privacy Policy
  • Copyright Policy
  • Disclaimer
  • Contact
Wednesday, February 1, 2023
NorthEast Now (Bengali)
  • প্রচ্ছদ
  • অসম
  • ত্রিপুরা
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ওপার বাংলা
  • প্রবাসের খবর
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবন শৈলী
  • স্বাস্থ্য
  • ভ্ৰমণ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • অসম
  • ত্রিপুরা
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ওপার বাংলা
  • প্রবাসের খবর
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবন শৈলী
  • স্বাস্থ্য
  • ভ্ৰমণ
No Result
View All Result
NorthEast Now (Bengali)
No Result
View All Result
Home অসম

আনুষ্ঠানিকভাবে মানুষের জন্য মানুষ ভালোবাসা প্রকাশ করুকঃ প্রেম দিবসে তসলিমা

সাগরিকা দাস by সাগরিকা দাস
February 14, 2020 1:08 pm
আনুষ্ঠানিকভাবে মানুষের জন্য মানুষ ভালোবাসা প্রকাশ করুকঃ প্রেম দিবসে তসলিমা

তসলিমা নাসরিন

146
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনকে মানবতাবাদ; প্রেমের সাগর বললেও কম পড়ে। আসলে তাঁর উপমা  তিনি নিজেই।

ভালোবাসার পক্ষে তিনি চিরটাকাল লড়াই করে চলেছেন। মানুষ মানুষকে ভালোবেসে জয় করবে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি;  সমাজে থাকবে না কোনো ঘৃণ্য বৈষম্য, নারী-পুরুষের লিঙ্গভেদ; নারীকে নারী ভেবে তুচ্ছ করার মতো নোংরা মানসিকতা বন্ধ হবে চিরতরে। বন্ধ হবে ধর্ষণ, বন্ধ হবে নারী নির্যাতন; মেয়েকেও যেন মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর স্বনির্ভরতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হতে হয়, সমাজ হবে তেমন সুন্দর। নয়তো লোকদেখানো ভ্যালেন্টাইস ডে উদযাপন করার কোনো অধিকার নেই পুরুষের। যা সত্য তা সত্যই।

সে সুন্দরের কামনায় আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব প্রেম দিবসে, ফাল্গুনের কানে কানে বসন্তের হাওয়াকে জানিয়ে দিলেন নারীবাদী লেখক, সর্বোপরি মানুষ তসলিমা নাসরিন।

লিখেছেনঃ

“অদ্ভুত একটা দিন বটে। ছোটবেলায় এরকম দিনের নাম শুনিনি। হঠাৎ যেন উড়ে এসে জুড়ে বসলো। জুড়ে বসে ভালো কাজ যদি করতে পারে করুক। ভ্যালেন্টাইন ডে’র উৎস নিয়ে নানা মুনির নানা মত। সবচেয়ে যেটা গ্রহণযোগ্য, সেটা হলো, লুপারকালিয়া বলে প্রাচীন রোমে এক উৎসব ছিলো, যেটি ফেব্রুয়ারির ১৩ থেকে ১৫ তারিখ অবধি হতো। যে উৎসবে নারী-পুরুষ প্রচুর মদ্যপান করতো, আর সঙ্গমের জন্য সঙ্গী বেছে নিতো। রোমের মানুষ তাদের প্রাচীন ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হচ্ছিলো যত বেশি, প্রাচীন রোমের দেবীর নামে লুপারকালিয়া উৎসবকে তত তারা মানতে পারছিলো না। উৎসবটি খুব জনপ্রিয় ছিল বলে পুরো ছেড়েও দিতে পারছিলো না। শেষে এমন হলো, উৎসবটি করতে লাগলো, কিন্তু উৎসবটিকে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামে উৎসর্গ করে, তবে। সেই সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন, খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করার কারণে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস তৃতীয় শতকে যার গর্দান কেটেছিলেন।

ইতিহাসবিদ নোয়েল লেন্সকি বলেছেন লুপারকালিয়া উৎসবে পুরুষেরা দেবী লুপারকাসের উদ্দেশে একটি ছাগল আর একটি কুকুর বলি দিতো। তারপর মৃত ছাগল বা কুকুরের চামড়া দিয়ে উৎসবের মেয়েদের বেদম মারতো। তারা বিশ্বাস করতো, এই মার খেলে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে। লুপারকালিয়া উৎসব ছিলো সকলের মদ খাওয়ার উৎসব, মদ খেতে খেতে মাতাল হওয়ার উৎসব, মাতাল হতে হতে ন্যাংটো হওয়ার উৎসব, ন্যাংটো হতে হতে লটারির উৎসব, লটারির কৌটো থেকে যে পুরুষ যে মেয়ের নাম ওঠাতো, তার সঙ্গে সেই পুরুষ সঙ্গম করতো সে রাতে। শুধু সে রাতে নয়, ইচ্ছে হলে আরও কিছু রাতে, কেউ কেউ বিয়ে করে নিতো। রোমের মানুষেরা খ্রিস্টান হওয়ার পর ওই উৎসবের নাম যেমন বদলে দিয়েছে, ন্যাংটো শরীরে কাপড়ও পরিয়েছে। পোপ প্রথম জেলাসিয়াস পঞ্চম শতাব্দীতে এটিকে খ্রিস্টানদের ছুটির দিন ঘোষণা করেছিলেন।

মধ্যযুগের ইংরেজ কবি জেফ্রি চশার, আর উইলিয়াম শেকসপিয়ার ভ্যালেন্টাইন ডে’কে রোমান্টিক দিন বলেছেন, এ নিয়ে পদ্য রচনাও করে গেছেন। চশার যদি ভ্যালেন্টাইন ডে’কে রোমান্টিক আখ্যা না দিতেন, যদি কাব্য করে না বলতেন সঙ্গী পছন্দ করার জন্য নানা রঙের পাখি ঝাঁক বেঁধে ছুটে আসত, তাহলে দিনটির সঙ্গে হয়তো ভালোবাসা এসে মিশতো না এমন। ন্যাংটো হয়ে মেয়েদের ওপর নির্যাতন করার ওই প্রাচীন পুরুষতান্ত্রিক উৎসবটিকে ‘রোমান্টিক’ না বলা হলে আমার মনে হয় না দিনটি প্রেমের দিন হিসেবে এভাবে প্রতিষ্ঠিত হতো। যে দুজন ভ্যালেন্টাইন নামের সন্তকে মেরে ফেলা হয়েছিল মধ্য ফেব্রুয়ারিতে, তাঁদের কেউই কিন্তু রোমান্টিক লোক ছিলেন না। রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লদিয়াস রোমের সৈন্যদের বিয়ে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বাস করতেন, জানি না কেন, বিবাহিত পুরুষেরা ভালো সৈন্য হওয়ার উপযুক্ত নয়। রোমের এক পুরোহিত ভ্যালেন্টাইন দাঁড়িয়েছিলেন সম্রাটের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে, গোপনে বিয়ে করেছিলেন তিনি, সৈন্যদের বিয়েও দিয়েছিলেন। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে তাঁর গর্দান কাটা যায়, গর্দান কাটার আগে নাকি জেলারের মেয়ের প্রেমে পড়েন তিনি, একটি চিঠির শেষ ছত্রে লিখেছিলেন, ফ্রম ইয়র ভ্যালেন্টাইন।

আজ একবিংশ শতাব্দীতেও সেই ভ্যালেন্টাইনের নামে দিবস পালন হচ্ছে। তবে দিবসটি এখন ব্যবসায়ীদের জন্য বিশাল দিন। আমেরিকায় এ বছর ১৮.২ বিলিয়ন ডলারের ভ্যালেন্টাইন ডে’র উপহার ক্যান্ডি, ফুল, কার্ড আর ডিনার বিক্রি হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ১৭.৬ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।

ভ্যালেন্টাইন ডে’র বিপক্ষে হিন্দু এবং মুসলমান মৌলবাদীরা বেশ সরব। তারা মনে করে এই দিবসটি আমাদের সংস্কৃতিবিরোধী। আশ্চর্য, প্রেম কি সংস্কৃতির অংশ নয়? যে সংস্কৃতিতে প্রেম নেই, সেই সংস্কৃতি অপসংস্কৃতি। যারা প্রেম দিবসের বিরুদ্ধে মিছিল করে, তারা কি কখনও ধর্ষণের বিরুদ্ধে, ঘৃণা আর বর্বরতার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে? নিশ্চিতই করেনি।

ভ্যালেন্টাইন ডে’র উৎস যত কুৎসিত হোক, যত বর্বরই হোক, যত উদ্ভট হোক, দিনটি নিয়ে ব্যবসায়ীরা যত ব্যবসা করুক না কেন, দিনটির সঙ্গে ভালোবাসা জড়িয়ে আছে, ভালোবাসাটা জেফ্রি চশারের কারণেই জড়াক, জড়িয়েছে তো! মানুষ তো ইতিহাস জানে না, সে কারণেই দিনটিকে নিখাদ ভালোবাসার দিন হিসেবেই বিচার করছে। না হয় করুক। চারদিকে যখন ঘৃণা আর অবিশ্বাস, চারদিকে যখন স্বার্থপরতা আর হিংসে, চারদিকে যখন যুদ্ধ আর অশান্তি— তখন কোনও এক নামে কোনও এক দিবস যদি আসে, যে দিবস মানুষের সঙ্গে মানুষের ভালোবাসা-স্নেহ-শ্রদ্ধার সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়, এর চেয়ে সুখবর আর কী আছে পৃথিবীতে? মানুষ জন্মেই শিখে যাচ্ছে কী করে নিজের জন্য সব নিতে হয়, ছলে বলে কৌশলে মানুষ শুধু নিতে শিখে যায়, কিন্তু দিতে শেখে না, দিতে কেউ কাউকে শেখায় না, ভ্যালেন্টাইন নামের দিনটি এসে যদি শেখায়, ক্ষতি কী? ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬৪ দিনই তো হিংসে বিদ্বেষ নিয়ে আছে, বছরের একটি দিনও যেন ভালোবাসা নিয়ে থাকে।

দিনটি যদি ব্যবসায়ীদের হাত থেকে মুক্তি পেতো, সবচেয়ে ভালো হতো। কিন্তু আপাতত মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ব্যবসায়ীরা দিবসটির নামে ব্যবসা করে নিচ্ছে বলে গোটা দিবসটিকে উড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। তার চেয়ে দিবসটিকে আর কী কী উপায়ে সুন্দর এবং সমৃদ্ধ করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। দিবসটির বিবর্তন সেই আদিকাল থেকে হচ্ছে। আজ মানুষ শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাকে নয়, বাবা মা ভাই বন্ধু এবং পোষা কুকুর বেড়ালকেও হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন জানাচ্ছে। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করার আর তো সময় সুযোগ নেই কারোর। যদিও আমি মনে করি, ভালোবাসা এক দিনের জন্য নয়, ভালোবাসা নিত্যদিনের জন্য, যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করি না, কিন্তু সমাজটা যেহেতু স্বার্থান্ধ, এই সমাজটাকে চাই ভালোবাসা শিখুক, ভালোবাসার চর্চা করুক। ঘৃণা প্রদর্শন নিয়ে জড়তা নেই, কিন্তু ভালোবাসা নিয়ে যেহেতু জড়তা আছে, চাই আনুষ্ঠানিকভাবে মানুষের জন্য মানুষ ভালোবাসা প্রকাশ করুক। মানুষ প্রকাশ্যে মানুষকে চড় নয়, কিল নয়, লাথি নয়, বরং চুমু খাক। একটি দিন ভালোবাসার চর্চা করলে মানুষ প্রকাশ্যে প্রেম করাকে আর চুমু খাওয়াকে মন্দ বলে ভাববে না, নিষিদ্ধ বলে ভয় পাবে না, মানুষের দ্বিধা কেটে যাক। আজ এই দিনে ভায়োলেন্স নিষিদ্ধ হোক।

নারীর ওপর নির্যাতন অন্তত একটি দিনের জন্য বন্ধ করবে কি পুরুষ? ভায়োলেন্স অন্তত বছরের একটি দিনে না করুক পুরুষ। ভ্যালেন্টাইন দিবসে যদি ভায়োলেন্স বন্ধ না হয়, তা হলে কোনও মানে নেই এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের। তুমি ভালোবাসতে না পারো, অন্তত ঘৃণা করো না। তুমি ফুল দিতে না পারো, অন্তত কাঁটা দিও না। তুমি চুমু খেতে না পারো, অন্তত চড় মেরো না। ভায়োলেন্স বন্ধ না করলে ভ্যালেন্টাইন দিবস পালন করার অধিকারই হয়তো পুরুষের থাকা উচিত নয়! ভ্যালেন্টাইন ডে’তে যেন একটি মেয়েকেও যৌন দাসী হতে না হয়, একটি মেয়েকেও যেন পুরুষের নির্যাতন সইতে না হয়, একটি মেয়েকেও যেন মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর স্বনির্ভরতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হতে হয়। রাজি?”

Tags: তসলিমা নাসরিন
No Result
View All Result

Recent Posts

  • কেমন কাটবে মাসের প্রথম দিনটি আপনার? দেখুন ১ ফেব্রুয়ারি রাশিফল
  • Shillong Teer Result আজ – February 1, 2023, প্রথম রাউন্ড, দ্বিতীয় রাউন্ড লাইভ ফলাফল আপডেট
  • ধানবাদে একটি বহুতলে আগুন, কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
  • গুয়াহাটি মহানগরে জি২০ বৈঠকের জন্য চূড়ান্ত প্ৰস্তুতি নেওয়া হয়েছে
  • সিঁদুর তিনিই পরতে বলেছেন বৈশাখীকে, প্ৰাক্তন স্ত্ৰী রত্নাকে জবাব শোভনের!
 
Our Properties
 
  • ⚪ NORTHEAST NOW
  • ⚪ NORTHEAST NOW ASSAMESE
  • ⚪ NORTHEAST JOBS
  • ⚪ NORTHEAST TENDERS
  • ⚪ INNFINITY
  • About
  • Privacy Policy
  • Copyright Policy
  • Disclaimer
  • Contact

© 2022 - Maintained by EZEN Software & Technology Pvt. Ltd

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • অসম
  • ত্রিপুরা
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ওপার বাংলা
  • প্রবাসের খবর
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবন শৈলী
  • স্বাস্থ্য
  • ভ্ৰমণ

© 2022 - Maintained by EZEN Software & Technology Pvt. Ltd