নির্বাচনী প্রচারে রবিবার শিলচরে এসে জনপ্লাবনে ভাসলেন নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার উত্তরপূর্ব এক ঝটিকা সফরে আসেন তিনি।
এদিন কংগ্রেস প্রার্থী সুস্মিতা দেবের পক্ষে এক বিশাল রোড শো–র মাধ্যমে ঝড়ো প্রচার চালান রাজীব–তনয়া। নির্ধারিত সময় সকাল ১০ টার পরিবর্তে বেলা প্রায় ১ টা নাগাদ শুরু হয় রোড শো। শেষ হয় পৌনে তিনটায়। তার আগে শিলচর বিমানবন্দরে নেমে উধারবন্দ কাঁচাকান্তি বাড়িতে পুজো দেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।সঙ্গে ছিলেন সুস্মিতা দেব, এআইসিসি–র সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত, দেবব্রত শইকিয়া, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিং।
শহরের ক্লাব রোডে কাছাড় ক্লাবের সামনে থেকে সুচনা হয় রোড শো–র।সেখান থেকে হুড খোলা গাড়িতে করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী প্রচারে বের হন। রোড শো টি ক্লাব রোড থেকে বের হয়ে সেন্ট্রাল রোড, নাজিরপট্টি, প্রেমতলা, হাসপাতাল রোড অতিক্রম করে রাঙ্গিরখাড়িতে এসে শেষ হয়। এদিন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে দেখতে রাস্তাজুড়ে লাখো মানুষের ভিড় উপচে পড়ে।
একই সঙ্গে চলে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’, ‘প্রিয়ঙ্কা গান্ধী জিন্দাবাদ’ স্লোগানও। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতার উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে অবিরত নমস্কার করতে থাকেন প্রিয়ঙ্কা।
অন্যদিকে, রাঙ্গিরখাড়িতে এসে হুড খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সুস্মিতা দেবের সঙ্গে তাঁর প্রয়াত ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর তুলনা করেন প্রিয়ঙ্কা। বলেন, সুস্মিতার নেতৃত্ব ও যোগ্যতায় ইন্দিরার ছায়া দেখতে পান।
সুস্মিতা দেবেরও এমন প্রতিভা রয়েছে। এছাড়াও, জনতার ভিরকে লক্ষ্য করে, শুভ নববর্ষ জানান তিনি। বক্তব্যে সুস্মিতাকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। শেষে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা করে বলেন, মোদি সরকারের আমলে সংবিধান সঙ্কটের মুখে।
৫ বছরে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে যাওয়ারও সময় পাননি মোদী। অসমের দুটি কাগজ কল ধংসের জন্যও বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন প্রিয়ঙ্কা। ক্ষমতায় এলে কাগজ কল দুটোকে চালু করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। শিলচরে ফের আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রিয়ঙ্কা।