আর হয়তো মাত্র মাস ছয়েক। তারপরেই উত্তর থেকে দক্ষিণ গুয়াহাটি পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র সাত মিনিট। সৌজন্যে ব্রহ্মপুত্রের উপর তৈরি হওয়া রোপওয়ে। এমনটাই দাবি করছেন গুয়াহাটি মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (জিএমডিএ) চেয়ারম্যান অশোক সিঙ্ঘাল।
অশোক সিঙ্ঘাল জানান, আগামী ছ’মাস বা ১৮০ দিনের মধ্যে আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে এই রোপওয়ে পরিষেবা। আর তা চালু হয়ে গেলে ব্রহ্মপুত্র নদের মিলবে সেই নজিরবিহীন তকমা, যার উপর দিয়েই দেশের দীর্ঘতম নদী-রোপওয়ে এবং রেল-সড়ক ব্রিজ, উভয়েই গিয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পানবাজারে নেহরু পার্কের সামনে থেকে যাত্রীদের নিয়ে পৌঁছে যাবে নদীর অপর পাড়ে রাজাদ্বার গ্রামে থাকা দোলগোবিন্দ মন্দিরের পিছনের টার্মিনালে। ৫৬.০৮ কোটি টাকা খরচ করে বানানো এই রোপওয়ে পরিষেবা চালু হয়ে গেলে অসমে পর্যটন ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এর আগে ঠিক ছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ১.৮২০ কিলোমিটার লম্বা এই রোপওয়ে পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। কিন্তু যাত্রী নিরাপত্তামূলক কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা বাকি থেকে যাওয়ায় তা শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলেছেন সিঙ্ঘাল।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে এই পরিষেবা চালুর কাজ শুরু হওয়ার পর ২০১১ সালে তা থমকে যায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আপত্তিতে। যেখানে, বলা হয়েছিল, এই পরিষেবা প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী বানানো হলে তা ব্রহ্মপুত্রের উপর থাকা ঐতিহ্যশালী উর্বশী দ্বীপের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তারপর একাধিক বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়ার পর একটি পিলার (টি-২) উর্বশী দ্বীপের থেকে ৩০০ মিটার দূরে সরিয়ে নতুন নকশা বানানো হয়। সরকারি ছাড়পত্র মেলার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ফের শুরু হয় বাকি কাজ। বর্তমানে যা প্রায় শেষের পথে।