গত ২৪ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করা ২১ দিনের লক ডাউন বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা নেই। এই কথা স্পষ্ট করেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
লকডাউনের বিকল্প কী হতে পারে, সে বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন ড০ শর্মা।
যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, আমি ভাবি লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি পাবে না, কিন্তু লকডাউনের বিকল্প কী হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে”।
তিনি আরো যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, “তোমরা রাজ্যবাসীর সঙ্গে কথা বলো। প্রত্যেক রাজ্যকেই বলেছেন যে, আপনারা ডাক্তার, বুদ্ধিজীবি, সমাজকর্মী প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলুন।”
এদিকে, দেশে লকডাউনের বিকল্প কী হতে পারে, সে প্রশ্নের সম্যক উত্তরে তিনি বলেন, বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লকডাউন শেষ হওয়ার পরও বন্ধ রাখতে পারবো নাকি? কার্যালয়গুলোতে ৫০ শতাংশ কর্মচারীর উপস্থিতি করে রাখতে পারবো নাকি? ধরে নিলাম, করোনা থাকা পর্যন্ত বদলি নিযুক্তি বন্ধ হয়ে থাকবে।”
সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, লাইব্রেরি, সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ রাখবেন। চাইলে দোকানের সময়য় সকাল ৫টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। কিন্তু একসঙ্গে যেন মানুষ জমায়েত না হয়ে থাকে।”
একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথাটি হলো, ‘জীবন খোলা যদিও নিজেই নিজের প্রতিবন্ধকতা নিতে লাগবে।”
লক ডাউনের বাকি আছে আরো ১০ দিন। এ মুহূর্তে কিন্তু অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা ভারতে। শুধু তাই নয় হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা নিজামুদ্দিন থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ সারা দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
এই ভয়ানক সময় একাংশ সচেতন নাগরিক মন্ত্রীর এই বার্তায় সমর্থন জানাতে পারেননি। তাঁদের মতে, এমনিতেই রাজ্য তথা দেশের জনগণ লক ডাউন মানছেন না। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বেরিয়ে পড়ছেন বাইরে। এ অবস্থায় খোলা দিয়ে দিলে পরিস্থিতি মন্দ ছাড়া ভালো হবে না।