২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে অসমের হিন্দু বাঙালিরা বিজেপিকেই ভোট দিবে। এর মূল কারণ গেরুয়া দলটির নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি হিন্দু বাঙালিদের বেশীর ভাগের আস্থা এখনও অটুট আছে। তিনি যেভাবে কড়া হাতে সন্ত্রাসবাদ তথা পাকিস্থানের মোকাবিলা করছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়েছে। তাছাড়া হিন্দু বাঙালিদের বিশ্বাস, হিন্দু বাঙালি শরণার্থীদের সমস্যা মেটাতে পারে একমাত্র বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্দু বাঙালি নেতারা মনে করেন, কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ছাড়া অন্য দলের সরকার গঠিত হলে হিন্দু বাঙালিদের সমস্যা আরও বাড়বে। তাই কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও চাওয়া-পাওয়ার হিসেব- নিকেশ শিকেয় তুলে রেখে বিজেপি ও তার মিত্র দলকেই ভোট দিবে হিন্দু বাঙালিরা। তবে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে হিন্দু বাঙালিদের মধ্যে ক্ষোভ নেই একথা ভাবা ভুল।
রাজ্য বিজেপির প্রভাবশালী নেতা হিন্দু বাঙালি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সমর্থনে গলা চড়ালেও, সর্বা-সরকারের সময়ে নাগরিকত্বের প্রশ্নে অসমে হিন্দু বাঙালিরা যেভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে, তাছাড়া সর্বা-সরকারের সময়ে বিজেপিতে যেভাবে উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তাঁতে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছে হিন্দু বাঙালিরা। হিন্দু বাঙালিদের এই ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা যেতে পারে ইভিএমে। কারণ অসম সরকারের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট একাংশ হিন্দু বাঙালি এবার ভোট দিতে পারে নোটায়। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার হিন্দু বাঙালিদের ভোট হয় নোটায় পড়বে না হয় বিজেপিতে বা বিজেপির মিত্রজোট ভুক্ত দলের ঝুলিতে। বিজেপি -বিরোধী দলের সমর্থনে যাতে হিন্দু বাঙ্গালিদের ভোট না পড়ে সেদিকে হিন্দু বাঙালি নেতারা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন।
‘সম্প্রীতি অসম’-এর মহাদেব চক্রবর্তী, ‘ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ড’-এর অজয় কুমার দে, বা বুফার উপদেষ্টা শান্তনু ঘোষই বলুন, সবার মুখে শোনা গেল এই ধরনের কথাবার্তা।