গত রাতে গুয়াহাটির এক বিলাসী হোটেলে এনপিপি নেতা তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে নেডার আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বৈঠক, রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিতে আরম্ভ করেছে।
এনিয়ে চলছে জোর চর্চা। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী এরপর বিজেপি বিরোধীতা থেকে সরে আসবে এনপিপি? এই সন্দেহ আরো জোরদার হয়েছে কনরাড সাংমা প্রস্তাবিত সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করায়। ধারনা করা হচ্ছিলো যে এই সাংবাদিক সম্মেলনে আসমের বাকী আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন কনরাড। কিন্তু তা হলো না। কনরাডের এ ধরনের আচরণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র রহস্যের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধরনা বিজেপির সঙ্গে গোপন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে এনপিপি।
ইতিমধ্যে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এনপিপি। রাজ্যের সব কয়টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন কনরাড। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে গণভিত্তি না থাকা একটি দলের সঙ্গে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতার বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নাগরিকত্ব সংশোধণী বিলের তীব্র বিরোধীতা করে রাজ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন কনরাড। এই জনপ্রিয়তাকে পুজি করে তিনি এনপিপিকে ছড়িয়ে দেন রাজ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন দলের প্রচুর লোক যোগ দেন এনপিপিতে। এতেই শংকিত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন দল ও সংগঠন। রাজ্যের প্রধান শাসক দল বিজেপিও এই দলটির উত্থানে শংকিত হয়ে উঠেছে। হিমন্ত-কনরাড বৈঠক তাঁরই প্রতিফলন।