নয়া দিল্লি: সিএএ চালু হতেই বিক্ষোভের আগুন লেগেছে অসমে। তবে এবার জোরদার করতে পারছে না কারণ সরকার সতর্ক এবং জানিয়ে দেয়া হয়েছে কোনোরকম সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট বা বনধ্ দেয়া যাবে না।
তবে পথে নামছে অনেকেই। ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে অনেকে।
আসামের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, এনআরসি-তে আবেদন না করে যদি একজনও নাগরিকত্ব পান, তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আমি অসমের পুত্র। যদি একজনও এনআরসি-র আবেদন না করে, নাগরিকত্ব পান, তবে আমি সবার প্রথমে ইস্তফা দেব।”
অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালের পর যারা ভারতে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “কেউ নিজেকে বিদেশি বলে পরিচয় দিতে চান না। বরাক ভ্যালির তিন জেলা থেকে হয়তো ৫০-৬০ হাজার আবেদন জমা পড়বে। ব্রহ্মপুত্র ভ্যালির জেলাগুলি থেকে সেই সংখ্যাটা খুবই কম হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সিএএ নিয়ে নতুন কিছু তো বলা হয়নি। আগেই এই আইন তৈরি হয়েছিল। এবার সময় এসেছে পোর্টালে আবেদন করার। পোর্টালের তথ্যই এবার কথা বলবে। যারা এই আইনের বিরোধিতা করছেন, তাদের দাবি সত্যি কি না, তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে। এক মাসের মধ্যেই সবাই জানতে পারবেন যে লাখ লাখ মানুষ নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন নাকি কয়েক হাজার। আমি সিএএ-র সমর্থক ও বিরোধী-উভয়কেই সম্মান করি, কিন্তু সিএএ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এবার সময় এসেছে দাবি প্রমাণ করার। ২০১৯ সালের ওই হিংসা আন্দোলনে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল, তার জন্য কে দায়ী, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”