গুয়াহাটি: তিনি অসমিয়া (Assamese) ঘরের সন্তান, কিন্তু বাঙালি (bangali) কী তিনি কম ছিলেন? বাঙালিই (bangali) ভূপেন হাজারিকাকে (bhupen Hazarika) গ্রহণ করেছিল। আজ ৮ সেপ্টেম্বর— ভূপেনদার (Bhupen Hazarika) জন্মদিন।বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গেয়েছিলেন ‘জয় জয় নবজাত বাংলাদেশ,/ জয় জয় মুক্তিবাহিনী/ ভারতীয় সৈন্যের সাথে রচিলে/ মৈত্রীর কাহিনি।’
উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমে (Assam) জন্ম ড০ ভূপেন হাজারিকার (bhupen hazarika)! এপার-ওপার বাংলা নয়, দুই-বাংলাতেই সমান জনপ্রিয় ড০ ভূপেন হাজারিকা (bhupen hazarika)।
বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রিয় জনগণও আজ ভূপেনদাকে (bhupen hazarika) স্মরণ করছে। বিশেষ করে মানুষ মানুষের জন্যে গানটি তাঁদের অনেকের ভীষণ প্রিয়।
উল্লেখ করতে হয়, ভূপেন হাজারিকার(bhupen hazarika) সঙ্গে বাংলাদেশের লেখক তসলিমা নাসরিনের (taslima nasrin) একটি ভালো একটি সম্পর্ক ছিল। লেখক তসলিমা (Taslima nasrin) গায়ক ভূপেনদার (bhupen) বাড়িতে এসেওছিলেন। সে সময় তসলিমার পরিধানে ছিল অসমের (assam) মেখলা চাদর।
চায়ের আসরে দুজনেই পাশাপাশি বসে গল্পে মেতে উঠেছিলেন।
এই একটি গান দু বাংলাকে এক সুতোয় বাঁধে।
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
ও আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা-
মেঘনা-যমুনা।গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা।
একই আকাশ, একই বাতাস-
এক হৃদয়ের একই তো শ্বাস।
দোয়েল-কোয়েল পাখির ঠোঁটে-
দোয়েল-কোয়েল পাখির ঠোঁটে একই
আজ ভূপেন হাজারিকার জন্মদিনে গুগল তাঁকে একটি বিশেষ ডুডলের (Bhupen Hazarika Birth Anniversary Doodle) সঙ্গে সম্মান জানালো।
গুগল জানিয়েছে, “শুভ জন্মদিন ভূপেন হাজারিকা, আপনার গান ও সিনেমাগুলি অসমের সংস্কৃতিকে আজও সমৃদ্ধ করে।”
ভূপেন হাজারিকা অনেক পুরস্কার পেয়েছেন জীবনে। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি সম্মান, দাদাসাহেব ফালকে সম্মান, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ।পদ্মশ্রী লাভ করেন ১৯৭৭ সালে।
আসাম সরকারের শঙ্করদেব পুরস্কার (১৯৮৭), দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯২)। পেয়েছেন পদ্মভূষণ (২০০১), আসামরত্ন (২০০৯), সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (২০০৯) ও ভারতরত্ন (২০১৯)।