অমরজ্যোতি দে-এর মৃতদেহের অংশ উদ্ধার করেছে গুয়াহাটি পুলিশ

গুয়াহাটি: গুয়াহাটিতে সংঘটিত ডবল মার্ডার কেসে(Guwahati double murder case) মহানগর পুলিশ মঙ্গলবার অমরজ্যোতি দে-এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। গত বছরের অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মেঘালয়ের ডাউকি (Dawki road in Meghalaya) পথের প্ৰায় ৭০ ফুট গভীর খাদে প্লাস্টিকে মুরিয়ে অমরজ্যোতি দে-র(Amarjyoti Dey) দেহাংশ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মৃতদেহের অঙ্গ উদ্ধার করেছে মহানগর পুলিশ(Guwahati police)। মঙ্গলবার ডাউকি সড়কের কাছে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে মৃত দেহাংশ পাওয়া যায়। এই কাজে অসম পুলিশকে (Assam Police) সাহায্য করেছে মেঘালয় পুলিশের(Meghalaya Police) দলও।

 গুয়াহাটি(Guwahati) মহানগরের বাসিন্দা অমরজ্যোতি দে-(Amarjyoti Dey) র স্ত্রী বন্দনা কলিতা তাঁকে খুন করে ৫ টুকরো করে কেটে প্লাস্টিকে মুরে গভীর খাদে ফেলে দিয়েছিল বলে জানা গেছে।

অমরজ্যোতির মা শংকরী দে (Shankari Dey)র মৃতদেহের অংশও সোমবার মেঘালয় থেকে উদ্ধার করেছে মহানগর পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে মহানগর পুলিশের একটি দল ঘটনার এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বন্দনা কলিতা(Bandana Kalita) এবং তাঁর দুই সহযোগীকে নিয়ে ডাউকির (Dawki) উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয়।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং সম্পত্তির লোভে অমরজ্যোতির স্ত্ৰী বন্দনা কলিতা স্বামী এবং শাশুড়িকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বন্দনা প্ৰেমিক ধনটি ডেকা এবং ধনটি ডেকার বন্ধু অরূপ ডেকার সঙ্গে মিলে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে মহানগর পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ১৭ আগস্ট থেকে অমরজ্যোতি দে(Amarjyoti Dey) নিখোঁজ ছিলেন। প্ৰাথমিক পর্যায়ে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। খোদ বন্দনা কলিতা পুলিশে নিজের স্বামী এবং শাশুড়ির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশের তদন্তে দুজনের হত্যার রহস্য ফাঁস হয়।

পুলিশ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বন্দনা কলিতাকে গ্ৰেফতার করেছে, পাশাপাশি তাঁর দুই সহযোগী ধনটি ডেকা এবং অরূপ ডেকাকেও গ্ৰেফতার করেছে। সোমবার মহানগর পুলিশ আদালতে পেশ করা হয়,  সেখানে তাঁদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে মূল অভিযুক্ত বন্দনা কলিতা সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তাঁকে ষড়যন্ত্ৰমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।