কাছাড় জেলার ইন্দো-বাংলা সীমান্তবর্তী কাটিগড়া কেন্দ্রের রাজাটিলা-হরিটিকর নদীভাঙ্গন অংশের সংস্কারকল্পে গৃহীত প্রস্তাব বাতিল । নতুনভাবে প্রস্তাব তৈরি করার নির্দেশ জারি করার পাশাপাশি শীঘ্রই কাজ শুরু হওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে উদ্বাস্তু নয়টি পরিবারের পুনর্বাসন নিয়েও জোর তৎপরতা পরিলক্ষিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ আজও ফাইলবন্দী।
গত ১৯ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী ওএসডি শেখর দেব ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শনে এসে ডিজেষ্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তরফে ভাঙ্গন অংশ সংস্কারকল্পে গৃহীত প্রস্তাবটি বাতিল হওয়ার খবর জানিয়ে শীঘ্রই নতুনভাবে প্রস্তাব তৈরি করে সংস্কারকার্য শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ওএসডি শ্রী দেব। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে খামতি থাকায় প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে। শীঘ্রই নতুন প্রস্তাব তৈরী করে কাজ শুরু হবে বললেও প্রায় দুমাস অতিক্রান্ত । কোনও নতুন খবর মেলেনি।
জলসম্পদ,পুর্ত সহ ডিজেষ্টার ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় বেশ নারাজ ওএসডি দেব ভাঙ্গন অংশে দাঁড়িয়ে সীমান্ত অঞ্চলের বিঘ্নিত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল সহ উদ্বাস্তু নয়টি পরিবারের পুনর্বাসনের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনবেন এবং যত সম্ভব দ্রুত গতিতে সংস্কার কাজ শুরু করার তদ্বির করবেন। কিন্তু দুমাসের মধ্যে এ পর্যন্ত এর অগ্রগতি নিয়ে সরকারীভাবে কোনো খবর নেই। এতে যোগাযোগ বিপন্ন সীমান্তবাসীর মধ্যে যেমন ক্ষোভ সঞ্চারিত হচ্ছে ঠিক সীমান্তে ২৪ ঘন্টা প্রহরারত সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর মধ্যেও দেখা দিয়েছে ঢের আক্ষেপ । কেননা সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচলের একমাত্র সড়ক পথটি ভেঙে চৌচির।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের গোঁড়ার দিকে আচমকা কাছাড়ের ইন্দো-বাংলা সীমান্তবর্তী কাটিগড়া কেন্দ্রের কাটিগড়া-হরিনগর পুর্তসড়কের রাজাটিলা হরিটিকর অংশের প্রায় পাঁচশো মিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। দুমড়েমুচড়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথটি। প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি জনগণের সড়ক যোগাযোগ স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে পড়ে সীমান্ত সুরক্ষায় মোতায়েন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর যানচলাচল। অকস্মাৎ এই ঘটনায় শাসনাধীন সরকার বেশ তৎপর হয়ে উঠলেও দীর্ঘ একবছর পরও একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভাঙ্গন অংশটি।
একইভাবে নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে উদ্বাস্তু নয়টি পরিবারের পুনর্বাসনের বিষয়টিও আজ পর্যন্ত একই তিমিরে পড়ে রয়েছে।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের গোঁড়ার দিকে আচমকা ইন্দো-বাংলা সীমান্তবর্তী কাটিগড়া কেন্দ্রের কাটিগড়া-হরিনগর পুর্তসড়কের রাজাটিলা হরিটিকর অংশের প্রায় পাঁচশো মিটার এলাকার সংস্কারকার্য আদৌ শুরু হবে কি ? এনিয়ে জনমনে প্রবল ধোঁয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে, ক্ষোভ-বিক্ষোভের পারদও ক্রমশ তীব্র আকার নিচ্ছে ।
|
|