অসম

ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলের ওপর ভূ-রাজনীতি : তিব্বত ও অরুণাচল প্ৰদেশে নদী বাঁধ নিৰ্মাণ

এ.এন.মহম্মদ পরামৰ্শদাতা, এন.এইচ.পি.চি. লিমিটেড, বিশ্বজিৎ বসু সঞ্চালক (প্ৰকল্প), এন.এইচ.পি.চি. লিমিটেড

# জল সম্পৰ্কীয় সংঘাত হচ্ছে এক বিশ্বব্যাপী সমস্যা । দ্ৰুত অৰ্থনৈতিক বিকাশ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্যে চীন আর ভারত দুই দেশে জলের অভাবের অনেক অবনতি হওয়ার সাথে সাথে আন্তঃদেশীয় নদী গুলোতে, বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের জলসম্পদের অংশীদারী প্ৰতিযোগিতা বেশি হবে । দীৰ্ঘ কাল সীমা বিবাদে থাকা দুটি দেশের মাঝে এক কাৰ্যকরী কাৰ্যপ্ৰণালী ছাড়া জলের সংঘাত চীন-ভারত সম্পৰ্কের জন্যে এক গুরুতর প্ৰত্যাহ্বান হয়ে পড়তে পারে । ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীর উৎস- হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালৰ আনচি হিমবাহ ২৮৮০ কিলো মিটার লম্বা ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী চীন, ভারত ও বাংলা দেশের মাঝে দিয়ে বয়ে যাওয়া আন্তঃ রাষ্ট্রীয় নদী । ব্রহ্মপুত্র নদী কৈলাশ পর্বতের কাছের মানস সরোবর হ্রদ অঞ্চলের আনছি হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে চীনের তিব্বত স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চলে ১৭০০ কিঃমিঃ, ভারত (অরুণাচল ও আসাম) এর মাঝে দিয়ে ৯২০ কিঃমিঃ এবং বাংলা দেশে ২৬০ কিঃমিঃ বয়ে বঙ্গোপ সাগরে নিষ্কাশিত হয়েছে । নদীটি তিব্বতে ইয়ারলুং চাংপো, অরুণাচল প্রদেশে চিয়াং, অসমে ব্রহ্মপুত্র ও বাংলা দেশে যমুনা নামে জানা যায়।

ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎস- হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালের আনচি হিমবাহ

৬১৫ বিলিয়ন ঘন মিটার বার্ষিক গড় প্রবাহের ব্ৰহ্মপুত্ৰ হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বড় নদী । ব্রহ্মপুত্র ও এর উপনদী গুলো তিব্বত (চীন), উত্তর পূর্ব ভারত ও বাংলা দেশে বাস করা লক্ষ লক্ষ লোককে গুরুত্বপূর্ণ পারি পার্শ্বিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সেবা প্রদান করে । চীনে চাংপোর ওপর বাঁধ পরিকল্পনার বিষয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করেছিল যদিও সূত্র থেকে জানতে পারা মতে লাছার পূর্বে জাংমু, গিয়াটচা, জংদা, জিজু ও লাংঝেন নামের পাঁচটা বাঁধের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে । ১১৬ মিটার উঁচু ৫১০ মেগা ওয়াটের জাংমু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন ২০১৪ সালের নভেম্বরে শুরু করেছিল। ৩৬০ মেগা ওয়াট গিয়াটসা (জিয়াসা) ও ৫৬০ মেগাওয়াট জিজু বাঁধের নিৰ্মাণ কাৰ্য চলছে । চীন ভারত এবং বাংলা দেশকে আশ্বাস দিয়েছিল যে এই নদী বাঁধ প্রকল্পগুলো নামনি তথা নিম্নতে কোনো প্রভাব ফেলবে না ।

জাংমু বাঁধের কাছে , গ্ৰেট বেণ্ডের উঁচুতে ইয়ওং নামক উপনদী একটিতে তিনটা বাঁধ প্ৰকল্প-৬৪০ মেগা ওয়াটের ডাগু, ৭১০ মেগা ওয়াট বায়ু ও ৮০০ মেগা ওয়াট ঝংয়ুর পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে আছে । অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করার আগে গ্ৰেট বেণ্ডে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী প্ৰায় ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে যাওয়ার পর ৫০ কিলো মিটারে ২৭০০ মিটার নিচে নেমে এসেছে অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করার আগে গ্ৰেট বেণ্ডে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী প্ৰায় ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে যাওয়ার পর ৫০ কিলো মিটারে ২৭০০ মিটার নিচে নেমে এসেছে । চীন ব্রহ্মপুত্রের গ্রেট বেণ্ডের কাছে এর সবচেয়ে উচ্চাকাংক্ষী বিশ্বের সৰ্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প ৬০০০০ মেগা ওয়াটের মোটোক বাঁধের পরিকল্পনা করেছে । চীন প্রকল্পটির থেকে এর উত্তরের শুকনো অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রের জল বয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে । চীনের এই অভিসন্ধি ভারতীয় বিশ্লেষকদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করে, বেইজিং অসৎ ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে আশ্ৰয় দেয়ার সন্দেহ করে ও দৃঢ়তার সাথে বলে যে এই কাজের জন্য ভারতে জলের প্ৰবাহ হ্ৰাস করা ও কৃত্ৰিম বন্যা সৃষ্টি করার সম্ভাবনার মতো নেতি বাচক পারি পার্শ্বিক পরিবর্তন হতে পারে । ২০১৮ সাল পর্যন্ত, ব্রহ্মপুত্রের ওপর চীনের উন্নয়নমূলক কার্য পরিকল্পিত কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণেই সীমা বদ্ধ। চীনের মতে , এর উদ্দেশ্য মূলত তিব্বতে জীবনধারার মানদণ্ড উন্নত করা, ২০৩০ সালের আগে চীনের কার্বন নির্গমন সর্বোচ্চ বিন্দুতে উপনীত হওয়া ও ২০৬০ সালের ভিতর কার্বন নিরপেক্ষতা প্রাপ্তির লক্ষ্য । চীন জলের ঘরোয়া চাহিদা পূরণের জন্যে চাংপো নদীর গতি পথ পরিবর্তন করার কোনো পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি ।

জল বিবাদের সাম্প্ৰতিক স্থিতি : চীন ভারতের অংশীদারি আন্তঃরাষ্ট্রীয় নদী গুলোর ভিতর ব্রহ্মপুত্র নদীতে বেশি উত্তেজনা বিদ্য মান। এর তিনটি মূল কারণ, ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকার ৫০% চীনে আছে যার জন্য ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর চীনের কার্যের সম্ভাব্য প্রভাব যথেষ্ট বেশি । দ্বিতীয়ত, ভারত ও চীন দুই দেশের জন্যে ব্রহ্মপুত্র নদী যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের জন্য, ব্রহ্মপুত্র নদী দেশের ব্যবহার যোগ্য জলসম্পদের প্রায় ৩০% ও মোট জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎসের ৪০%। চীনের ক্ষেত্রে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দেশের ব্যবহার যোগ্য জলের যোগানে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভূমিকা যথেষ্ট সীমিত যদিও তিব্বতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীকে তিব্বত সভ্যতার জন্মস্থান গণ্য করা হয়। এটি তিব্বতের কৃষি, শক্তি খণ্ডে এক গুরুত্বপূৰ্ণ ভূমিকা পালন করে । তৃতীয়ত, ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী চীন-ভারত সীমা বিবাদের সাথে জড়িত। ভারতের অরুণাচল প্ৰদেশকে চীন দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবী করে । চীনের আন্তঃগাঁথনি প্ৰকল্পের ওপর নির্ভর করার অনেক উদাহরণ আছে । বিশ্বের সৰ্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প ২২৫০০ মেগা ওয়াটের থ্রি গর্জেস প্রকল্প ও দক্ষিণ-উত্তর জল বিচ্যুরণ (diversion) প্ৰকল্প দক্ষিণ চীনের ইয়াংজি নদী থেকে ১২৬৪ কিঃ মিঃ লম্বা নালা প্ৰণালী (canal) র দ্বারা বছরে ৪৪.৮ বিলিয়ন ঘন মিটার সতেজ জল স্থানান্তর করা হয়। চীন, তুর্কি, বুরুণ্ডি তিনটি দেশ প্রতি বেশি দেশের সাথে আন্তৰ্জাতিক নদীর ব্যবহারের সহযোগিতা সম্পর্কে ১৯৯৭ সালের রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনে আন্তৰ্জাতিক নদীর ব্যবহারের আইনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল।

চীন হচ্ছে বিশ্বের সৰ্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ উৎপাদক। চীনের ইয়ুনান অঞ্চলের মেকং নদীর ওপরের বাঁধগুলো ম্যানমার, থাইলেণ্ড, লাওস, কম্বোডিয়া , ভিয়েটনামকে চিন্তিত করে তুলেছে । অংশীদারি দেশগুলো জলসম্পদের যৌথ ব্যবস্থাপনার জন্যে এক আন্তঃসরকারি মেকং নদী আয়োগ (Mekong River Commission) স্থাপন করেছে যদিও চীন এই আয়োগ থেকে দূরেদূরে থাকে । ব্রহ্মপুত্র নদীতে পরিকল্পনা করা চীনের প্ৰকল্পের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগের প্রতি চীনের ইশারা খুব স্বল্প। চীন ভারতকে বার বার আশ্বাস দিয়েছিল যে চাংপো নদীকে বিচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনা নেই ও এর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনায় নিচের দেশগুলোর উদ্বিগ্নতা বিবেচনা করবে । মে’ ২০১৬ তে ‘ব্রহ্মপুত্রের জল সম্পদ প্ৰতিযোগিতা’ নামক এক অধ্যয়নে সি,এন,এ বিশ্লেষণ এবং সমাধান (CNA analysis & solutions )এ উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ভারতের বাঁধ নির্মাণ কাৰ্য অরুণাচল প্রদেশের ওপর নতুন দিল্লীর “প্ৰকৃত নিয়ন্ত্ৰণ” বেশি শক্তিশালী করতে পারে বলে চীনের উদ্বেগ আছে । এই বিষয়টি বেইজিংয়ের এই অঞ্চল পুনরুদ্ধারের আশা আরো হ্রাস করতে পারে ও চীন ভারত সীমা বিবাদ আলোচনা জটিল করতে পারে । চীন ব্ৰহ্মপুত্ৰে জলবিদ্যুৎ বাঁধ নিৰ্মাণ করা থেকে চীনের গ্ৰেট বেণ্ডে চাংপো নদীর গতিপথ পরিবৰ্তন পরিকল্পনা ভারতকে বেশি চিন্তিত করে তুলেছে । কারণ এর ফলে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী শুকিয়ে যেতে পারে ও নিচের লোকজনের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে পারে ।

অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করার আগে গ্ৰেট বেণ্ডে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী প্ৰায় ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে যাওয়ার পর ৫০ কিলো মিটারে ২৭০০ মিটার নিচে নেমে এসেছে

ভারত সরকারের ব্ৰহ্মপুত্রে পৰ্যাপ্ত জলের প্রবাহের দাবী নিয়ে চীনের সাথে যথেষ্ট বিতৰ্ক হয়েছে । ১৯৯৬ সালের বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী ও এর ৫২ টি মুখ্য উপনদীর মোট অববাহিকা এলাকা ৫,৮০,০০০ বৰ্গ কিলো মিটারের চীনে ৫০.৫%, ভারতে ৩৩.৬%, বাংলাদেশে ৮.১% ও ভূটানে ৭.৮% । তিব্বত থেকে ভারতে প্রবেশ করা চাংপো নদীর প্রবাহের পরিমাণ নিয়ে মতা মত পৃথক পৃথক । ভারতের অনেকে যুক্তি দেয় যে , ৪০% জল চীনা অববাহিকা এলাকা থেকে আসে । ভারতের অনেক নীতি নির্ধারক বিশ্বাস করে, চীন চিয়াংয়ের প্রবাহে মাত্র ৭% অবদান যোগায়। অরুণাচল প্রদেশে হওয়া বৃষ্টি সিয়াং নদীর বাকি জল যোগানে সাহায্য করে । পাণ্ডুর প্রবাহ পৰ্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য মতে চিয়াং নদী ব্ৰহ্মপুত্রে ২৫ থেকে ৩৩% জলের অবদান যোগায়। চীন চাংপো নদীর গতিপথ পরিবৰ্তন করলে চিয়াং নদীর সবচেয়ে বেশি প্ৰভাবিত এলেকাটি হবে ইণ্ডো-চীন সীমান্ত থেকে পাংগিন পর্যন্ত ১৫০ কিলো মিটার দূরত্বে যেখানে মুখ্য উপনদী চিয়ম নদী চিয়াংয়ে মিলিত হয়েছে ।

জলবিদ্যুৎ বিকাশের জন্য ভারতের পরিকল্পনা : ভারত বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে এর উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলোতে জীবিকা ও বিকাশ প্ৰভাবিত করা বন্যা নিয়ন্ত্ৰণ করতে চায়। বিংশ শতাব্দীর মধ্য থেকে পৃথিবীর পরিবেশে আসা গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির দ্বারা জলবায়ু পরিবৰ্তন হয়ে আগামি দিনে বিশ্বে মানব জাতির অস্তিত্বের প্ৰতি প্ৰত্যাহ্বান হয়ে পড়েছে ।

ভারত বিশ্বের দ্ৰুততম বিকাশশীল অৰ্থনীতি গুলোর ভিতর অন্যতম । ২০৪০ সালের ভিতর বিশ্বব্যাপী শক্তি ব্যবহারের ২৫% অংশ ভারতের হবে ও পরবর্তী কয়েকটি দশকে শক্তির চাহিদা ভীষণ বৃদ্ধি পাবে । আকলন অনুযায়ী, ২০৩০ সালে ভারতে ২,৫১৮ বিলিয়ন কিলো ওয়াট বিদ্যুতের প্ৰয়োজন হবে ও এই লক্ষ্য পূরণ করতে ভারতে এর বিদ্যুৎ শক্তির স্থাপন ক্ষমতা ৭০০০০০ মেগা ওয়াট পৰ্য্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে । ডিসেম্বর ২০২২ এ সৰ্বভারতীয় বিদ্যুৎ শক্তির স্থাপন ক্ষমতা ৪১০৩৩৯.২৩ মেগা ওয়াট ।এর তাপ বিদ্যুৎ ২৩৫৮০৮.৯১ মেগা ওয়াট (৫৭.৪৭%), জলবিদ্যুৎ ৪৬৮৫০.১৭ মেগা ওয়াট (১১.৪১%), পারমাণবিক ৬৭৮০ মেগা ওয়াট (১.৬৫%) ও নবীকরণ যোগ্য শক্তি উৎস থেকে ১২০৯০০.১৫ মেগা ওয়াট (২৯.৪৬%) (সৌর- ৬৩৩০২.৪৯ মেগা ওয়াট, বায়ু- ৪১৯২৯.৭৮ মেগা ওয়াট, ক্ষুদ্ৰ জলবিদ্যুৎ -৪৯৩৫.৬৫ মেগা ওয়াট, জৈব-গ্যাস –১০২০৯.৮১ মেগা ওয়াট, আবৰ্জনা থেকে শক্তি – ৫২২.৪২ মেগা ওয়াট)। ভারত ২০৩০ সালের ভিতর অ-জীবাশ্ম ইন্ধন-আধারিত শক্তি উৎস থেকে ৬০% বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের সংশোধিত লক্ষ্য নিৰ্ধারণ করেছে । নবীকরণযোগ্য শক্তির একটি মূল অংশ সৌর শক্তি থেকে আসবে বলে অনুমান করা হয়েছে । সৌর হচ্ছে আমাদের গ্রহের সবচেয়ে প্রচুর নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিকাশের সাথে মানবজাতির ভবিষ্যতে অস্তিত্ব থাকা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করবে ।

রাষ্ট্রীয় শক্তি প্ৰতিষ্ঠান (The National Institute of Energy) দেশের সৌর সম্ভাবনা ৭৪৮০০০ মেগা ওয়াট বলে অনুমান করেছে ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত দেশের সৌর স্থাপন ক্ষমতা ৬৩৩০২.৪৯ মেগা ওয়াট। বাতাস হচ্ছে বায়ুশক্তির এক অন্তঃস্থ (intermittent) , স্থান-নিৰ্দিষ্ট সম্পদ। রাষ্ট্রীয় বায়ুশক্তি প্ৰতিষ্ঠান দেশে মাটির থেকে ১০০ মিটার ওপর মোট বায়ু শক্তির সম্ভাবনা ৩০২০০০ মেগা ওয়াট মূল্যায়ন করেছে । ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত মোট স্থাপন করা বায়ু শক্তি ক্ষমতা ছিল ৪১৯২৯.৭৮ মেগা ওয়াট, যা বিশ্বের চতুৰ্থ সৰ্ববৃহৎ স্থাপন ক্ষমতা ও দেশের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে স্থাপিত। সৌর ও বায়ু শক্তি আবহাওয়ার ওপর নিৰ্ভরশীলের জন্যে এর দক্ষতা ৩০% । জলবিদ্যুৎ শক্তি হচ্ছে শক্তি উৎপাদনের সবচেয়ে পরিবেশ অনুকূল, বহনক্ষম ও স্থির শক্তি যোগানের উৎস । জলবিদ্যুৎ শক্তি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ শক্তি সম্পদ। সৌর শক্তির দক্ষতা হচ্ছে ৩০-৩৬%, বায়ু শক্তি ২৫-৪৫% ও তাপ (কয়লা ) শক্তি হচ্ছে ৩৩-৪০%। জলশক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প ৯০% পর্যন্ত দক্ষ। ১০ থেকে ৩০ বছরের সৌর প্রকল্পের জীবন ম্যাদের তুলনায় জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্পগুলো ৫০ থেকে ১০০ বছর ধরে দক্ষতার সাথে চলে । ১৯৮৭ সালে কেন্দ্ৰীয় বিদ্যুৎ কৰ্তৃপক্ষ মূল্যাঙ্কন করা ভারতের জল-বৈদ্যুতিক শক্তির উৎস হচ্ছে ১৪৮৭০১ মেগা ওয়াট, এর ভিতর ১৪৫৩২০ মেগা ওয়াট ক্ষমতা ২৫ মেগা ওয়াটের বেশি ক্ষমতা থাকা প্রকল্প থেকে ।

ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত কার্যকরী হওয়া জলবিদ্যুৎ আঁচনি ৪২১০৪.৫৫ মেগা ওয়াট (২৮.৯৭%) ও নিৰ্মাণাধীন আঁচনি ১১৩৭৩.৫০ মেগা ওয়াট (৭.৮৩%) । মোট জল-বৈদ্যুতিক শক্তির সম্ভাবনার ৯১৮৪২.০ মেগা ওয়াট (৬৩.২০%) অংশ কাৰ্যকরী হতে বাকি আছে । জলবিদ্যুৎ শক্তির কাৰ্বন নিৰ্গমনের ক্ষেত্ৰে শূন্য ভূমিকার জন্যে , জলবায়ু পরিবর্তনের রাষ্ট্রীয় কাৰ্য পরিকল্পনায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত জলবিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদন ৭০০০০ মেগা ওয়াট বৃদ্ধি করার প্ৰস্তাব দেয়া হয়েছে । অবশ্য আজ পর্যন্ত ভারতএর পরিকল্পিত প্রকল্পগুলোর খুব কম সংখ্যক প্ৰকল্প ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও এর উপনদী গুলোতে নিৰ্মাণ করেছে । উত্তর পূর্ব অঞ্চলে ৬৫৪০০ মেগা ওয়াট শক্তির সম্ভাবনার বিপরীতে মাত্ৰ ৪৬৮৭ মেগা ওয়াট বিকশিত ও ৩২৭৭ মেগা ওয়াট নিৰ্মাণাধীন হয়ে আছে ও ৫৭৪৩৬ মেগা ওয়াট (৮৭.৮২%) কার্যকরী হতে বাকি আছে । শুধু অরুণাচল প্রদেশে ৫০৩২৮ মেগা ওয়াট জলবিদ্যুতের সম্ভাবনা থাকার বিপরীতে মাত্র ১১১৫ মেগা ওয়াট (২.২১%) কাৰ্যক্ষম হয়েছে । ২০০৫-০৮ বর্ষে অরুণাচল প্ৰদেশে কেন্দ্ৰীয়, রাজ্যিক, ব্যক্তিগত খণ্ডসমূহকে ৪১৫০০ মেগা ওয়াটের ১৪০ টি প্রকল্প আবন্টন করেছিল। এই প্রকল্পগুলো ছিল ৭ টা মুখ্য ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীর উপ-অববাহিকায়, যেমন, তাওয়াং, কামেং, ডিক্ৰং, সুবনশিরি, চিয়াং, দিবাং ও লোহিতে । এর প্রায় ৫০ টা প্ৰকল্প ২৫ মেগা ওয়াট থেকে কম, ৫০ টা প্ৰকল্প ২৫ থেকে ১০০ মেগা ওয়াটের ভিতর, ২৮ টা প্ৰকল্প ৫০০ মেগা ওয়াট থেকে বেশি (বৃহৎ প্ৰকল্প) ছিল ।নিপকো লিমিটেডের দ্বারা ২০২১ সালে ৬০০ মেগাওয়াট কামেং প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছিল, অন্য দিকে, ২০০০ মেগা ওয়াট নামনি সুবনশিরি এনএইচপিসি লিমিটেডের দ্বারা নিৰ্মাণাধীন ।

২০০০ মেগা ওয়াট নামনি সুবনশিরি প্রকল্প (নিৰ্মাণাধীন) এই প্ৰকল্পগুলো রূপায়িত করে ব্ৰহ্মপুত্ৰের ওপর ভারতের প্ৰথম ব্যবহারকারির অধিকার (‘First User’ Rights) সাব্যস্ত করাটা একটা উদ্দেশ্য । ২০০৮ সালে স্থাপিত শক্তি মন্ত্রণা লয়ের যৌথ সচিব পর্যায়ে ব্রহ্মপুত্র ও এর উপনদী গুলোর ওপর ভারতের অধিকার স্থাপনের জন্যে এক কার্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য একটি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সংস্থা পরামর্শ দিয়েছিল যে প্রথম ব্যবহারকারির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রথম অগ্রাধিকার হবে নামনি সুবনশিরি, নামনি চিয়াং ও নামনি ডেমওয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পূর্ণ করা । তদুপরি দ্রুততার সাথে ও আরো দৃঢ়তায় ব্রহ্মপুত্রে প্রথম ব্যবহার কারির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ভারত চীন আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এই অববাহিকা গুলোতে কমেও একটি বৃহৎ প্ৰকল্প দ্ৰুততার সাথে আবন্টন করা ও তৎকালীন রূপায়ণ করার জন্যে অরুণাচল সরকারকে পরামর্শ দেয়। ভারতে বাঁধ নির্মাণ এক অত্যন্ত সীমিত প্রক্রিয়া । এর কারণ মূলত, বিভিন্ন আইনি অনুমোদন (বিশেষ করে পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ) প্রাপ্তির জন্যে, ভূমি অধিগ্রহণ, কিছু বাঁধ নির্মাণে নাগরিক বিরোধিতা, আর্থিক সীমা বদ্ধতা ইত্যাদি । অন্য দিকে, এই পরিস্থিতিটি চীনের ব্রহ্মপুত্র নদীর অংশে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ প্রক্রিয়ার পুরো বিপরীত।

ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে ভারতের বাঁধ নির্মাণের ইচ্ছা থাকলেও নির্মাণ করা বাঁধের সংখ্যা সীমিত হয়ে আছে । ভারতের জল সম্পদ তথ্য প্রণালি (WRIS) অনুযায়ী, মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় মাত্র ১৬ টি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে , এর কিছু এখনো সম্পূর্ণ হয়নি । বাঁধ সম্পূর্ণ করায় দেরি হওয়ার কারণ (উদাহরণস্বরূপ, সুবনশিরি নদীর বাঁধ), উত্তর পূর্ব ও বিস্তৃতভাবে ভারতে আন্তর্জাতিক বাঁধ বিরোধী বেসরকারি সংগঠনগুলোর সমর্থনে হওয়া বাঁধ বিরোধী আন্দোলন ও পর্যাপ্ত আর্থিক অভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট নয় যে, ভারত ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও এর উপনদী গুলোর অংশে আসলে কতটা বাঁধ সম্পূর্ণ করবে । ভারত চীন সহযোগিতা : ২০০০ সালের ৯ এপ্রিলে সংঘটিত হওয়া এক বড় ভূমি স্খলনের ফলে তিব্বতে ৬০ মিটার উঁচু ও ২.৫ কিলো মিটার চওড়া কৃত্ৰিম বাঁধ সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে ২০০০ সালের ১১ জুন অরুণাচল প্রদেশে বন্যার সৃষ্টি হয়ে ৩০ লোকের মৃত্যু হয় ও ১০০ রও বেশি লোক সন্ধানহীন হয়। তিব্বত থেকে ভারতে ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রবেশ স্থলের কাছের টুটিংয়ে জলের স্তর ৪০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল।

২০০০ মেগা ওয়াট নামনি সুবনশিরি প্রকল্প (নিৰ্মাণাধীন)

চিয়াংয়ের ওপর থাকা বেশিরভাগ দলং ভাসিয়ে নিয়েছিল, রাস্তা গুলো ক্ষতি গ্ৰস্ত হয়েছিল, অরুণাচল প্রদেশের ৫০,০০০ রও বেশি লোক বন্যার ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। পাচিঘাট থেকে চওড়া সমভূমি উপত্যকার মাঝে দিয়ে বয়ে যাওয়া সিয়াং নদী সদিয়ার কাছে অসমে প্রবেশ করার আগে প্রচণ্ড বন্যার ঢল ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়েছিল। অরুণাচল প্রদেশে হওয়া আকস্মিক বন্যার পর এর উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোতে বন্যার বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ চীন সরকারের কাছে উত্থাপন করা হয়েছিল। চীন জানিয়েছিল, ব্রহ্মপুত্র নদীতে চীনের দিকে কোনো বাঁধ নেই ও ভারতের দিকে হওয়া বন্যার জন্যে প্রাকৃতিক কারণকে দায়ী করেছিল। নূতন দিল্লির দ্বারা প্রদান করা তথ্যে রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি গত গবেষণা সংস্থা (NTRO)র নিরীক্ষণে প্রাকৃতিক ভূমি স্খলনের ফলে গ্রেট বেণ্ডের ওপরে অঞ্চলে চাংপো নদীতে সৃষ্টি হওয়া কৃত্রিম বাঁধ ভেঙে অবরোধ করে রাখা জল বন্যার সৃষ্টি করেছিল বলে প্রকাশ করা হয়েছে । ভারত ২০০০ সালের বন্যার কারণ সম্পর্কে চীনের ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছিল ও ব্রহ্মপুত্র সম্পর্কীয় ভারত- চীন সম্পর্কে আলোচনা ও সহযোগিতার নতুন উপাদান অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

২০০২ সালের বোঝা বুঝি চুক্তির অধীনে চীন ১ জুন – ১৫ অক্টোবর বর্ষাকালে তিব্বতের তিনটি জলমাপা কেন্দ্র- নুগেসা, ইয়াংকুন, নুক্সিয়ার থেকে জলের স্তর, প্রবাহ ও বৃষ্টির পরিমাণসহ জলবিজ্ঞানের তথ্য প্রদান করতে সম্মত হয়েছিল। ভারত এই তথ্য গুলো কেন্দ্রীয় জলআয়োগ দ্বারা ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার বন্যার পূর্বানুমান করায় ব্যবহার করা হয়ে ছিল। চীন ভারতের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনাকে দেশের জলের অধিকারের জন্যে হুমকি, বিতর্কিত অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত দখল শক্তিশালী করার এক ইচ্ছা কৃত চেষ্টা বলে গণ্য করে । ২০০৯ সালের মা মাসে চীন ভারতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (ADB) ঋণের বিরোধিতা করেছিল, কারণ এখানে অরুণাচল প্রদেশে ৬০ নিযুত ডলারের বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবিজ্ঞান কার্যসূচির জন্য পুঁজি অন্তর্ভুক্ত ছিল। অরুণাচল প্রদেশে বিনিয়োগ করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিচ্ছার জন্য ব্যক্তিগত খণ্ডের জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্পগুলো রূপায়ন না করতে পারাটা একটি মুখ্য কারণ ।

পশ্চিম হিমালয়ে কয়েক মাস ধরে সীমান্ত বিবাদের পর ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারত ও চীনের মাঝে কূটনৈতিক সম্পৰ্ক অধ বিন্দুতে ছিল। চীন নতুন পঞ্চবাৰ্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) তে দেশের মুখ্য শক্তি উন্নয়ন প্ৰকল্প চাংপো নদীর গ্ৰেট বেণ্ডে বিশ্বের সৰ্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প ৬০০০০ মেগা ওয়াটের বৃহৎ বাঁধের নির্মাণ করার কথা ঘোষণা করেছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চীনকে প্রতিহত করতে কেন্দ্রীয় সরকার অরুণাচল প্রদেশের ইংকিয়ংএ ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীর ওপর ভারতের দ্বিতীয় সৰ্ববৃহৎ জলাধার ক্ষমতার ১০০০০ মেগাওয়াটের বৃহৎ বাঁধ প্রকল্প নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রস্তাবিত জলাশয়টি উত্তর পূর্বাঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্ৰণ, দেশের জল ও খাদ্য সুরক্ষার জন্যে প্রায় ১০ বিলিয়ন ঘন মিটার জল সংরক্ষণ করবে । তদুপরি , দেশের জন্যে নির্ধারিত সবুজ শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যের পরিপ্রেক্ষিতে অরুণাচল প্রদেশের ২৭ টি জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প দ্ৰুতগতিতে সম্পাদনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে । ২০১৬ সালের মে’ মাসে সিএনএ-র দ্বারা প্রকাশিত নীলন্তী সমরনায়েকের “ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী অববাহিকায় জলসম্পদ প্ৰতিযোগিতা”

শীৰ্ষক গবেষণা পত্ৰে উল্লেখ করেছে যে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলোতে জীবিকা, বন্যা সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বাঁধ নির্মাণ করতে চায়। অবশ্য আজ পর্যন্ত ভারতএর পরিকল্পিত বাঁধের খুব কম সংখ্যক ব্ৰহ্মপুত্ৰ, এর উপনদী সমূহে নিৰ্মাণ করেছে । বিশ্লেষক, গবেষকরা বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নের অভাবের পরিপ্ৰেক্ষিতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীর সম্পূৰ্ণ প্ৰভাবের বিষয়ে স্পষ্ট, প্ৰমাণ-আধারিত সিদ্ধান্তে আসতে অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছে । ভূ-রাজনৈতিক কারণ ছাড়া ও গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি , ভারতের অৰ্থনৈতিক বিকাশের প্ৰত্যাহ্বানের মোকাবিলা করার জন্য ব্ৰহ্মপুত্ৰ অববাহিকার সব জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা বিকশিত করাটা গুরুত্বপূৰ্ণ ।

এন ই নাও নিউজ

Recent Posts

বাংলাদেশে হিটস্ট্রোকে উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থীসহ  ৪ মৃত্যু, স্থগিত নির্বাচন

ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে অতি গরমের ফলে হিটস্ট্রোকে ৩৭ জন মারা গিয়েছেন।…

3 weeks ago

বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন

ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। যাকে রেলের ভাষায় বলা হয়…

3 weeks ago

সাপ্তাহিক রাশিফল

মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সপ্তাহটি ভালোই হতে চলেছে। অর্থ উপার্জন হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।…

3 weeks ago

বাংলাদেশে তাপদাহে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুনঈশ্বরদীতে রেললাইনের পাত বেঁকে গেছে

ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছর সীমাহীন তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরবোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে…

3 weeks ago

আপনার আজকের দিনটি

সিংহ: আজকের দিনটি আপনার জন্য নতুন কিছু শেখার দিন হবে। ভাগ্যের দিক থেকে দিনটি ভালোই।…

3 weeks ago

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ঢাকা: বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২৫)…

3 weeks ago