কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে তীব্র আক্রমণ হেনেছেন কংগ্রেসকে।
তিনি আঙুল তুলে যুক্তিসঙ্গতভাবে বলেছেন, ধর্মের আধারে দেশবিভাজন কে করেছে? কংগ্রেস করেছে। সুতরাং নয়তো এই বিলের কোন প্রয়োজন হতো না।
সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থনে ২৯৩ টি ভোট পড়েছে, অন্যদিকে বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে মাত্র ৮২ টি।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের বলি হয়ে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি, জৈন ধর্মাবলম্বী লোকেদের ক্যাবের মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবেই।
শত প্রতিবাদকে দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করছেন অমিত শাহ।
গত ক’দিন ধরে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বরা। এমনকি কংগ্রেস নেতা শশী তারুর বলেছেন, মোদী-অমিত শাহ ভারতকে হিন্দু পাকিস্তান বানাতে চাইছেন।
এদিকে, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, সরকার অসাংবিধানিক কাজ করছে। সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে, তা লঙ্ঘন করতে চাইছে মোদী সরকার।
অমিত শাহ জোরদার প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের তখন নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়নি। আসলে সমস্যার শিকড়ে রয়েছে কংগ্রেসের ভ্রান্ত নীতি। কংগ্রেস যদি ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না করত তা হলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের বেছে বেছে নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা লোকেদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে যে কোন মর্মে।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল গ্রহণের জন্যে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।