কেন্দ্রে দমদার সরকার চাই, না দূর্বল সরকার। অসমের জনগণকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানালেন বিজেপির স্টার ক্যাম্পেইনার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর দাবী,৭০ বছর শাসনে,দেশকে দূর্বল করেছে কংগ্রেস। দেশকে ভেতরে ভেতরে খোখলা করেছে। কংগ্রেস শাসনে, ভারত পৃথিবীর সেরা দেশগুলোর দয়ার পাত্রে পরিণত হয়েছিলো। এনডিএ সরকারের ৫ বছরের শাসনে দেশ সেখান থেকে ঘূরে দাড়াতে আরম্ভ করেছে। তিনি বলেন, এই পাঁচ বছরে দেশ এতটা উন্নতি করেছে যে পৃথিবীর মহাশক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাধ মিলিয়ে চলতে পারছে। দেশের সুরক্ষার প্রশ্নেও ভারত শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছে। এর আগে কোন সরকারের সময়ে সেনা পাকিস্থানের অভ্যন্তরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের মেরে আসতে পারেনি। এই সরকার তা করে দেখিয়েছে।
এই সরকারের সময়ে মহাকাশ দখলের লড়াইয়ে ভারত অনেকটা এগিয়ে গেছে। ভারতের মহাকাশে শত্রুরা প্রবেশ করলে তাদের কী হাল হতে পারে তা হাতে কলমে করে দেখিয়েছেন ভারতে বিজ্ঞানীরা।
মোদী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছে দেখে কংগ্রেসের ঘুম উড়ে গেছে। মহাকাশ দখলের ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে যাওয়ায় কংগ্রেস নেতাদের চোখে জল এসে গেছে। কারণ কংগ্রেস চায় না দেশ ও দেশবাসী শক্তিশালী হোক। তারা চাইলে মহাকাশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তলার ক্ষেত্রে অনেক আগেই এগিয়ে যেতে পারত ভারত।
এক দিনের ঝটিকা সফরে নির্বাচনি প্রচার চালাতে অসমের গহপুর ও মরানে এসে এভাবেই কংগ্রেস দলের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চা-বাগান অধ্যুষিত অঞ্চলে দলীয় প্রচার চালাতে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস এখন আর চৌকিদার ও চা-ওয়ালাদের কথা শুনতে পারে না কংগ্রেসিরা। চা-উৎপাদনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরও তারা ভালোবাসে না।তা না হলে চা বাগানের বেশীর ভাগ লোকের ব্যাঙ্ক খাতা খোলার জন্য ৭০ বছর অপেক্ষা করতে হতো না। তবে বর্তমান সরকার তাদের ব্যাঙ্ক খাতা খোলার ব্যবস্থা করেই ক্ষান্ত হয়নি। দুই কিস্তিতে তাদের প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক খাতায় জমা করেছে ৫০০০টাকা। তিনি বলেন, এনডিএ সরকার যখন শাসনে আসে তখন দেশের ৪৫ শতাংশ ঘরে রন্ধন গ্যাসের সংগযোগ ছিল। বর্তমানে দেশের ৮৫ শতাংশ লোকের ঘরে রন্ধন গ্যাসে রান্না হয়।
তিনি বলেন, একটি দল বলছে তাঁরা ক্ষমতায় এলে দরিদ্র লোকদের একাউন্টে ৭২০০০ টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে দল ৭০ বছর দেশ শাসন করে যারা দরিদ্র লোকদের ব্যাঙ্ক খাতা খোলার ব্যবস্থা করতে পারে না । তারা তাদের ব্যঙ্ক খাতায় টাকা জমা করবে কী করে?
উল্লেখ্য, এদিন রামেশ্বর তেলী ও পল্লব লোচন দাসের সমর্থনে রাজ্যে দুটি জনসভায় যোগ দিয়ে দলীয় প্রচার চালাতে অরুণাচলে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী।