গুয়াহাটিঃ মহানগরে ফের স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু। অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও নারাঙ্গী এলাকায় একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ক্লাস থ্ৰির ওই ছাত্ৰী এসেছিল। সকালে প্ৰার্থনা (Condolence Prayer meet) করার কিছুক্ষণ পর ক্লাসে টিচার ঢোকার সময় একবার দাঁড়িয়ে তারপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি তাকে অন্য আরাম কক্ষে (Sick Room) নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্ৰীকে রিলাক্স দিতে তার পরনের জামা কাপোড় ঢিলা করে দেওয়া হয়, পা থেকে জুতো খুলে দেওয়া হয়। তারপর তার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।
তার বাড়ি গীতা নগর, বাবার নাম পুলেন কলিতা। মহানগরের নারাঙ্গী এলাকায় বিদ্যা মন্দির ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের প্ৰিন্সিপাল সংবাদ মাধ্যমকে জানান- ওই ছাত্ৰী ক্লাস থ্ৰির, ও ক্লাস ক্যাপটেনও। ক্লাস ক্যাপটেন হিসেবে সকালে স্কুলে প্ৰার্থনার সময় প্ৰতিদিন প্ৰথম সারিতে দাঁড়ায়। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সে অন্যান্য ছাত্ৰছাত্ৰীদের সঙ্গে ক্লাসে ঢুকেছে। হঠাৎ সে ঘুরে দাঁড়ায় তারপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারপর ক্লাস টিচার তাকে অন্য কক্ষে নিয়ে যান। তার পরনের জামা ক্ষাণিকটা ঢিলা করে দেন, পা থেকে জুতো খুলে দেন।
স্কুলের অন্য আরেকজন শিক্ষক বলেন- ওই সময় ছাত্ৰীর শরীর ঠান্ডা হয়ে ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্ৰীর বাড়িতে বাবা মাকে খবর দেওয়া হয়। দেরী না করে স্থানীয় ই জি হাসপাতালে (EG Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ICU না থাকায় তাকে প্ৰতীক্ষা হাসপাতালে (Pratiksha Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা করে দেখে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দিসপুর পুলিশ থানা থেকে জানিয়েছে- ছাত্ৰীকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। ময়না তদন্তের জন্য দেহ Guwahati Medical College Hospitalএ পাঠানো হয়েছে।
এর আগেই গুয়াহাটিতে নিকলস হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে গত ৬ আগস্ট ১০ বছর বয়সের এক ছাত্ৰীর মৃত্যু হয়। গরমের মধ্যে প্ৰাৰ্থনা করার পর হিট স্ট্ৰোক হয়ে ছাত্ৰীর মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নারাঙ্গী স্কুলের Principal স্পষ্ট বলেছেন- তাদের স্কুলে প্ৰার্থনা (Condolence Prayer meet) স্কুল বিল্ডিঙের ভেতরেই করা হয়। সেখানে ফ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে পরিবেশ যথেষ্ট অনুকূল রয়েছে। ছাত্ৰীর আকষ্মাৎ মৃত্যুর ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত স্কুল প্ৰশাসন কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ স্কুলে কি কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তা জানতে হাসপাতালে ছাত্ৰীর সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকরা ছিলেন। দেহ ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।