শিলচর: সম্প্রতি ত্রিপুরায় (tripura) নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন যে তাঁর রাজ্যে বাঙালি হিন্দুরা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বাঙালি হিন্দুরা এসে আসামে (Assam) থাকতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানালেও আসামের (Assam) বাঙালি হিন্দুদের প্রকৃত স্বার্থে কাজ করার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিলেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক Pradip Dutta Roy।
এক প্রেস বার্তায় দত্তরায় বলেন যে যদি আসামে বাঙালি হিন্দুরা প্রকৃতই সুরক্ষিত হয়ে থাকেন তবে কেন ১৯ লক্ষ এন আর সি ছুটদের মধ্যে প্রচুরসংখ্যক বাঙালি হিন্দু অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ? কেন তাদের আধার কার্ড আটকে রেখে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে ? কেনই বা বাঙালি হিন্দুদের নামে বারবার ডি নোটিশ জারি করা হচ্ছে ?
প্রদীপ বাবু বলেন যে ২০১৪ নির্বাচনের প্রাক্কালে যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে আসামের সমস্ত ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে সেখানে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করে গোয়ালপাড়ায় তৈরি হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প এবং সেই ক্যাম্পে বন্দীজীবন কাটাচ্ছেন বাঙালি হিন্দুরা।
তিনি বলেন এই কি বাঙালি হিন্দুদের সুরক্ষা দেবার নমুনা ? বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক বলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর এইসব নির্বাচনী বক্তব্যে তাই বিশ্বাস রাখতে পারছেন না বাঙালি হিন্দুরা।
কারণ গত কয়েক বছরের যা অভিজ্ঞতা তাতে মনে হচ্ছে বিজেপি দল বাঙালি হিন্দুদের নাগরিকত্বের ভয় দেখিয়ে শুধু চিরস্থায়ী ভোটব্যাঙ্ক বানিয়ে রাখতে চায় তাদের প্রকৃত সুরক্ষা ও উন্নয়ন আদৌ তাঁদের লক্ষ্য নয়। তিনি বলেন সেজন্যই সংসদের উভয় সভায় পাশ হবার পরও দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয় নিয়ম নীতি তৈরি করছে না বিজেপি সরকার।
তিনি বলেন এতেই প্রমাণিত যে এই দল আদ্যোপান্ত বাঙালি বিরোধী। বাঙালি স্বত্ত্বাকে ধর্মের নামে বিভাজিত করে দুর্বল করে রাখাই এদের উদ্দেশ্য। তাই তার দাবি – শুধু মৌখিক প্রতিশ্রুতি না দিয়ে কার্যক্ষেত্রে বাঙালি হিন্দুদের সমস্যা সমাধানে ব্রতী হতে হবে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে।
অন্যথা আগামীতে ব্যালটের মাধ্যমে এসবের যোগ্য জবাব দিতে রাজ্যের বাঙালি হিন্দুদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।