নয়াদিল্লি: চাঁদ ছুঁয়ে ফেলল ভারত। ব্যর্থতা দিয়ে কাউকে যাচাই করা উচিৎ নয়। এটা দেখিয়ে দিল ভারত। ছোট থেকেই মানুষ শুরু করে। একদিন সূর্যমুখী হয়ে ফোটে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে নামল চন্দ্রযান-৩। ২৩ আগস্ট দিনটি পৃথিবীর ইতিহাসে স্মরণীয়।
সেই মাহেন্দ্রক্ষণে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে থাকলেন প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী জানালেন, ‘নতুন ভারতের সূর্যোদয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের চন্দ্রযান মানুষের জন্য অনেক কাজ করবে। ভবিষ্যতের জন্য অনেক বড় লক্ষ্য তৈরি করা হয়েছে। আদিত্য এল ওয়ান মিশন করবে ইসরো। যার লক্ষ্য সূর্য অভিযান। আসবে শুক্র অভিযানও। চন্দ্রযান মহা অভিযানের উপলদ্ধি ভারতের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
চন্দ্রযানের সফল ল্যান্ডিংয়ের পর ভারতের পতাকা নাড়াতে থাকেন তিনি। গোটা দেশের রোমকূপ খাড়া হয়ে যায়। তিনি ইসরোর প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, “আজকের দিন ইতিহাসে সব সময় মনে রাখবে। এই দিন আমাদের নতুন সংকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। হারের থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে জয় পেতে হয়, তার উদাহরণ এই দিন।”
মোদী বললেন, “আমার বিশ্বাস আমাদের আগামী প্রজন্ম চাঁদে পর্যটনের স্বপ্ন দেখবে। দূরের চাঁদমামা ‘ট্যুরে’র চাঁদমামা হবে।”
বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪ মিনিটে অবতরণ করেছে চাঁদের মাটিতে। চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী এবং ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদী বলেন ‘‘আমরা ভারতে পৃথিবীকে মা বলি আর চাঁদকে বলি মামা। ভারতের শিশুদের মায়েরা এত দিন বলে এসেছেন, ‘চন্দামামা দূর কি হ্যায়’ (ওই দূরে চাঁদমামা)। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই ভারতের আগামী প্রজন্মের শিশুরা বলবে ‘চন্দামামা ট্যুর কি হ্যায়’।
‘‘ আমি তিন চন্দ্রযানের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিজ্ঞানীকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আজকের দিনটা ভারতকে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে গেল ঠিকই। তবে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে কী ভাবে জয়ী হওয়া যায় তার প্রমাণও দিল এই অভিযান।’’
মোদী বলেন, ‘‘আমরা পৃথিবীর মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। চাঁদে গিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করলাম। এ হল ভারতের উদীয়মান ভাগ্যের উদয়। সাফল্যের অমৃত বর্ষ। আমি জানি ভারতের ঘরে ঘরে এখন উৎসব হচ্ছে”।