বুধবার রাতে গোপন খবর ভিত্তিতে কাটিগড়ার তিনটিকরি এলাকার আহাজ উদ্দিনের ঘরে অভিযান চালিয়ে বৃহৎ পরিমানের গাঁজা উদ্ধার করে কাটিগড়া পুলিশ ।
মোট ৫৫ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রের খবর। প্রতিটি গাঁজার প্যাকেটের গড় ওজন ১০ কিলোগ্রাম করে। উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছে, তা খুব সহজেই অনুমেয়।
বেশ তৎপরতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে বৃহৎ পরিমানের গাঁজা উদ্ধার করা হলেও মুল অভিযুক্ত আহাজ উদ্দিন ফেরার,তবে পুলিশ জাল বিছিয়ে রেখেছে খুব শীঘ্রই জালে আটকা পড়বে বলে আশ্বাস দেন কাটিগড়া থানার ওসি নয়নমণি সিনহা ।
গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় প্রায় প্রমাণিত হয়ে উঠেছে যে কাটিগড়াকে সেফজোন হিসেবে ব্যবহার করছে দুষ্কৃতকারীরা। একের পর এক ঘটনায় ফের কাটিগড়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে সমাজ সচেতন মহলকে। প্রশ্ন উঠছে এত বৃহৎ পরিমানের গাঁজা তিনটিকরির মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোথা থেকে আসলো?
অভিযুক্ত আহাজ উদ্দিনের বাড়িতে বৃহৎ পরিমানের গাঁজা মজুত করে অন্যত্র পাচার করার অভিসন্ধির পেছনে বড় বড় মাফিয়াদের নিশ্চয় মদত রয়েছে? মোদ্দাকথা,কাটিগড়া দুষ্কৃতকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা ব্যক্ত করেন অনেকেই। উদ্বিগ্ন কাটিগড়ার সাধারণ জনগণ ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পূর্বকাটিগড়ার গোবিন্দপুর সিংজুরিপারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হওয়ায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে অস্ত্রশস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুঠ করার পাশাপাশি মারধোর করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে।
তিনদিন আগে জাতীয় সড়কের বুকে লাঠিসোটা নিয়ে কয়লাবাহী লরি আটকাতে একদল যুবককে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল বলে খবরে প্রকাশ ।
তাছাড়া মাথাচাড়া দিয়ে উঠা সিণ্ডিকেটরাজ এককথায় অনিয়ন্ত্রিত । প্রতিরাতে লক্ষ, কোটি টাকার সার,সুপারী,কয়লা,গরু অবৈধভাবে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে কাছাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খাদের মুখে দাঁড়িয়েছে বলে সমাজ সচেতন মহল যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন। আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী কাটিগড়া সমষ্টির পুলিশি ব্যবস্থাও পাতে দেওয়ার মতো নয়।
অভিযোগ মতে, সিণ্ডিকেটরাজের অঙ্গুলিহেলনে চলছে সামগ্রিক পুলিশি ব্যবস্থা । অন্যদিকে আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী সমষ্টি হওয়ার সুবাদে কাটিগড়া সমষ্টির দিকে যতটা গুরুত্ব আরোর করার কথা,তা কিন্তু মোটেই হচ্ছে না বলে অভিযোগ প্রায় প্রতিটি বর্গের জনগনের। স্টাফ নেই,অফিসার নেই,নেই পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা ।
সাব-ডিবিশন্যাল অফিস কিংবা কাটিগড়া থানার একই অবস্থা । এই ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যে দুষ্কৃতকারীরা ফায়দা তুলছে। চলছে অবাধ কার্যকলাপ ।
সুতরাং আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী কাটিগড়া সমষ্টির গুরুত্ব অনুধাবন করে কাটিগড়ার সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে শক্তপোক্ত অবস্থানে দাঁড় করানোর দাবি উঠছে কাটিগড়ার সাধারণ জনমানষে।