আজ বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পিটিশনগুলোর ওপর শুনানি গ্রহণ করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্য অসম এবং ত্রিপুরার আবেদনের শুনানি হবে পৃথকভাবে।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ৩ জনের বিচারপীঠের বেঞ্চ আজ এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, অসমের বরপেটায় বুধবার সিএএ বিরোধি প্রতিবাদী কার্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে শপথনামা দাখিলের জন্যে কেন্দ্রকে মোট ৪ সপ্তাহের সময় ধার্য করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
মোট ৬ সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন এটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল। পক্ষান্তরে ৪ সপ্তাহের সময়ই বেঁধে দেয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে।
এই ২৮ দিনের মধ্যে শপথনামা দাখিল করতে হবে কেন্দ্র সরকারকে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৪৪ টি পিটিশন দাখিল হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। পরে আরো বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। বর্তমানে মোট নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ১৬০ টি পিটিশন জমা পড়েছে।
এদিন সকালে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইনজীবী কপিল সিব্বল আর্জি জানিয়েছেন, যতদিন না সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষ না হয়, ততদিন যেন সিএএ কার্যকর করা না হয়।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সরকার পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য না শুনে স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে শপথনামা দাখিলের জন্যে ৪ সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছে। তার পরে শুনানি শুরু হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ১৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, এই আইনে কোনরকম স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। তবে নাগরিকত্ব আইন কতটা বৈধ, তা খতিয়ে দেখবে আদালত। শুনানির দিন ঠিক হয়েছিল ২২ জানুয়ারি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে (হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন,পার্সি) ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন , তাঁদের প্রত্যেককে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
এ নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য অসমে চলছে তীব্র প্রতিবাদ। অসমিয়াদের দাবী, অসমের মাটিতে কিছুতেই বাংলা ভাষীদের রাজত্ব করতে দেয়া হবে না। তাতে করে নষ্ট হতে পারে অসমিয়া সংস্কৃতি, ভাষা। তবে তা কতটুকু যৌক্তিক, সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
মামলাকারীরা দাবি জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন অসাংবিধানিক, এই আইন কিছুতেই কার্যকর হতে দেয়া যাবে না। ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ হতে দেয়া যাবে না। যদিও বিজেপির জোর দাবি, এই আইন ধর্মের ভিত্তিতে নয়। ধর্মীয় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানোর আইন এটি।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে সভা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট বলেন, যার যতো প্রতিবাদ করার করতে থাকুন, এই আইন ফেরানো হবে না কিছুতেই। নাগরিকত্ব আইন নিপীড়দের জীবনে নতুন সূর্যোদয়ের আইন।”
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে অতি গরমের ফলে হিটস্ট্রোকে ৩৭ জন মারা গিয়েছেন।…
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। যাকে রেলের ভাষায় বলা হয়…
মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সপ্তাহটি ভালোই হতে চলেছে। অর্থ উপার্জন হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।…
ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছর সীমাহীন তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরবোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে…
সিংহ: আজকের দিনটি আপনার জন্য নতুন কিছু শেখার দিন হবে। ভাগ্যের দিক থেকে দিনটি ভালোই।…
ঢাকা: বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২৫)…