২০১৯ বিশ্ব বাঙালি পুরস্কারে পুরস্কৃত হচ্ছেন বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট ব্যক্তি তথা অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড৹ তপোধীর ভট্টাচার্য।
নাগরিকত্ব নিয়ে অসমের নিপীড়িত বাঙালির পক্ষে তাঁর লড়াই বিশ্ব বাঙালির সম্মান এনে দিয়েছে। অসমের সর্বহারা বাঙালির জন্যে তিনি সম্মুখ লড়াই করে আসছেন।
‘বিশ্ব বাঙালি সংঘ’র পক্ষ থেকে মোট পাঁচজন কীর্তিমান বাঙালিকে বিশ্ব বাঙালি সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে এই বছর।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ‘সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে’র এক সাংবাদিক সম্মেলনে ২০১৯ সালে বিশ্ব বাঙালি পুরস্কারে ভূষিত ব্যক্তিত্বদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ব বাঙালি সংঘের গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনে’র প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল আখতারুজ্জামান এই আনন্দের সংবাদটি সর্বসমক্ষে ঘোষণা করেন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি কবি সম্পাদক রাজু আহমেদ মামুন এবং অন্যান্য গুণীজনেরা।
অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্যের সাথে বিশ্ব বাঙালি পুরস্কারে ভূষিত তিনজন কীর্তিমান বাংলাদেশের অপর তিনজন ভারতবর্ষের। বরাক উপত্যকার তপোধীর ভট্টাচার্যের সঙ্গে ‘বিশ্ব বাঙালি সম্মানে’ সম্মানিত দুজন হলেন, অধ্যাপক সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং কবি পার্থ বসু। অপরদিকে বাংলাদেশের দুজন ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক এমিরেটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি এবং আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
‘বিশ্ব বাঙালি সঙ্ঘ’ থেকে ২০১৯ সালের বিশ্ব বাঙালি সম্মানে সম্মানিত করা প্রতিজন ব্যক্তিত্বের সমাজে এক বিরাট অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি বাংলা ভাষা শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। সেই সঙ্গে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাংলাদেশের একটি গঠনমূলক আন্দোলনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশের আশি লক্ষেরও অধিক শিক্ষার্থীকে সৃজনশীল বই পড়া আন্দোলনের সাথে যুক্ত করেছেন। জাতির উন্নতি রক্ষার্থে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্যে বিশ্ব বাঙালি পুরস্কারে পুরস্কৃত হচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে ভারতের সুভাষ মুখোপাধ্যায় বিহারের মানভূম– সিংভূমের বাংলা ভাষা আন্দোলনে থাকা বিশেষ অবদান তাঁকে বিশ্ব বাঙালির খেতাব এনে দিয়েছে।
ভারতের কবি পার্থ বসু কলকাতা সহ সারা পশ্চিমবঙ্গের বিপন্নের পথে চলা বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমে গড়ে ওঠা বাংলা পক্ষ আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে সমস্ত কার্য পালন করে আসছেন। জাতি–ভাষা রক্ষার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা অবলম্বনের জন্যে তাঁকে বিশ্ব বাঙালি খ্যাতি দেওয়া হচ্ছে বিশ্ব বাঙালি সংঘ থেকে।
আগামি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঠিক দুদিন পূর্বে অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার এক অনুষ্ঠানে বিশ্ব বাঙালি সম্মান এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য পাঁচজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।