আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। আসতে চলেছে বাঙালির আন্তরিক আবেগ, বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। নব বর্ষারম্ভের হাল খাতা ,সাংস্কৃতিক উৎসব, বাঙালির ঐতিহ্য ধুতি–পাঞ্জাবি সেই সঙ্গে ভোজন তো রয়েছেই। উত্তর পূর্ব ভারতের অসম রাজ্যের বিহুর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত অসমের বাঙালি।
অসমের বাঙালির মাতৃভাষা বাঙালি, ধাত্রীভাষা অসমিয়া। অসমিয়া– বাঙালির মিলন উৎসব এই বিহু।
কপৌ ফুলের সুগন্ধে মম করছে ধরণী। আকাশ – বাতাস পূর্ণ। সেই আবেশে মেতে উঠেছে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সারা অসমবাসি।
আদিমতা থেকে আধুনিকতায় গতি করলেও অসমের বিহুর আমেজ কিছুমাত্র কমে যায়নি।
বাঙালির পয়লা বৈশাখ, অন্যদিকে অসমিয়া সমাজের বহাগ বিহু হৃদয়ে আবেগ তোলে, উচ্ছ্বাস জাগায় প্রাণে। অসমের সামাজিক সংগঠন ব্যতিক্রম মাসডোর সহযোগে অসমের গুয়াহাটিতে আজ শনিবার আয়োজিত হতে চলেছে প্রাক বিহু সম্মিলনী।
অসমে লোকসভা নির্বাচন তিন দফায় যথা ১১, ১৮ এবং ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
কিন্তু আবেগের কাছে অন্য সবই একটু হলেও হার মানে। নির্বাচন একদিকে, অপর দিকে বিহুর হুল্লোর। ইংরেজি ১৪, ১৫ ১৬ এপ্রিল সমগ্র অসমবাসি রঙ্গালি বিহুর আনন্দে মেতে উঠবে।
ব্যতিক্রম মাসডো প্রধান সৌমেন ভারতীয়া জানিয়েছেন, এই উৎসব কেবল অসমিয়া জাতির নয়, চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। অসমিয়া–বাঙালির মিলন সেতু হিসেবে কাজ করছে বিহু। বিহুর তালে ছন্দে আজ থেকেই মাতবে সারা অসমবাসি।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের উদযাপন করা এই বিহু উৎসব মূলত কৃষি ভিত্তিক উৎসব। বিশিষ্ট অসমিয়া সাহিত্যিক অনুরাধা পূজারি বলেছেন যে, আমাদের জীবন থেকে কৃষী উঠে গেলেও কৃষ্টি রয়ে গেছে। পুরাতন প্রজন্মের সাথে সাথে নতুন প্রজন্মও একই ভাবে উঠে আসছে।