গুয়াহাটিঃ ১৮২৩ সাল থেকে অসমে চায়ের চাষ হচ্ছে। চা চাষের ২০০ বছর পূর্তি উদযাপন করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে যোরহাটে। গত কয়েক বছরে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে অসমের চায়ের। উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন ‘প্ৰিমিয়াম চা’। মনোহারি গোল্ড টি(Manohari Gold Tea)র দাম নিলামে উঠেছে ১ লক্ষ টাকার ওপরে।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
অসমে চা শিল্পের বিকাশ ও উন্নতি কীভাবে হল তা নিয়ে গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন প্ৰদীপ বরুয়া(Pradip Baruah)। অরূপ দত্ত নামে আরেকজন লেখক monogram প্ৰকাশ করেছেন। এর মাধ্যমেই অসমের চা চাষের ২০০ বছর পূর্তি শুরু হয়েছে।
‘Two hundred years of Assam Tea 1823-2023: The Genesis and Development of Indian Tea’ নামে একটি বই প্ৰকাশ করেছে North East Tea Association সংক্ষেপে NETA। সেইসঙ্গে ‘Genesis of Assam Tea Industry’ নামের মনোগ্ৰামে তুলে ধরা হয়েছে রাজ্যের চা শিল্পের উন্নতির কথা। অসমের চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত পরিবারের সদস্য বিদ্যানন্দ বরকাকতি এবং স্বপ্না শর্মা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন Tea Boardএর প্ৰাক্তন চেয়ারম্যান Prabhat Bezboruah।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
উল্লেখ্য যে, এই চা শিল্পের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ‘টা অ্যাকাডেমি’ খোলা হয়েছে। কীভাবে চা শিল্পে আরও প্ৰশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়েই এই অ্যাকাডেমী তৈরি করা হয়েছে। এখানে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বস্পকালীন কোর্স করানো হবে। অ্যাকাডেমীর প্ৰথম ডিরেক্টর করা হয়েছে মনোজ জালানকে। কর্মীরা এখানে প্ৰশিক্ষণ নিয়ে অসমের আরও উন্নত মানের চা উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী এক বছর ধরে চা উৎপাদনের ২০০ বছর পূর্তি পালন করা হবে। চায়ের ওপর তৈরি ডকুমেন্টরি, ডিব্ৰুগড়ে একটি চা মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হবে। ছয়গাঁওয়ে (Chaygaon) একটি টি পার্ক তৈরি করা হবে।