অসম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখার ফলাফলে কাছাড় জেলার পড়ুয়ারা মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এবছর বিবেকানন্দ জুনিয়র কলেজের ছাত্র অসীম সরকার বাণিজ্য শাখায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে ৪৭৪।
ওই একই কলেজের বৃন্দা রায় বাণিজ্য শাখায় নবম স্থান দখল করেছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে, ৪৫৫।
এদিকে, শিলচর সরকারি উচ্চতর বালক বিদ্যালয়ের ডেইজি পাঠক বিজ্ঞান শাখায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৭।
অন্যদিকে, আরও একটি স্থান এসেছে বরাকে। করিমগঞ্জ জুনিয়র কলেজ অব সায়ন্সের হর্ষ গোলছা বাণিজ্যে সপ্তম স্থান দখল করে নিয়েছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৮।
এখানে উল্লেখ করা যেতেই পারে, কাছাড়ের শিলচর সরকারি উচ্চতর বালক বিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়া দীর্ঘ ৩৭ বছর পর রাজ্যে শীর্ষস্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
১৯৮২ সালে ওই বিদ্যালয়ের তন্দ্রা মিত্র নামের এক পড়ুয়া বাণিজ্য শাখায় নবম স্থান দখল করেছিল।
এদিকে, শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল তাঁর আগের ঘোষণা অনুযায়ী শিলচর উচ্চতর বালক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ডেইজি পাঠককে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। তিনি অনেক আগে ঘোষণা করেছিলেন যে কাছাড় জেলার কোনও সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী রাজ্যের মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করলে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করবেন।
এছাড়াও অনেক পড়ুয়া ৩-৪ নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় ঢুকতে পারে নি। শিলচরের রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের বাণিজ্য শাখার ছাত্রী শ্রেয়া বনিক চার নম্বরের জন্য মেধা তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৫০। বিজ্ঞান শাখায় অমৃতাখ্য পুরকায়স্থ ৩ নম্বরের জন্য মেধা তালিকার বাইরে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫। দেবলিনা নাথ (৪৬৬), রাজর্শি চৌধুরী (৪৬৩) , বিপ্রোজ্যোতি কর (৪৬৩)।