শিলচর: এবার পুজোতে অসমের assam করিমগঞ্জ karimganj সফরে এসে বন্যা বিধ্বস্ত বরাকের পুজো কমিটিগুলোকে সরকারি সাহায্যের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা himanta biswa Sharma যে মন্তব্য করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ এর মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় pradip dutta roy বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে দুর্গাপূজায় durga puja সরকারি সাহায্য দিলে নাকি ঈদেও দিতে হবে। তাঁর এই মন্তব্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং এর দ্বারা শুধু হিন্দু নয় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের তিনি অপমান করেছেন।
প্রদীপ দত্তরায় pradip dutta roy বলেন যে একটি রাজ্যের assam মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হিমন্ত বিশ্বশর্মার এটা জানা উচিত যে ঈদে কোন চাঁদা তোলা হয়না। একমাসের তীব্র কৃচ্ছসাধনের শেষে ঈদের পবিত্র দিনে প্রতিজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী আল্লাহর কাছে সবার মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন এবং সেদিন তাঁরা সাধ্যানুযায়ী দান খয়রাত করে থাকেন।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক বলেন যে তাঁরা এবার বরাকের পুজোকমিটি গুলোকে সরকারি অনুদানের অনুরোধ জানিয়েছিলেন কারণ বিগত বন্যায় বরাকের আমজনতা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁতে সেভাবে চাঁদা দেওয়া অধিকাংশের পক্ষেই সম্ভব ছিল না।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তা শুধু অগ্রাহ্যই করেননি এই প্রসঙ্গে অনর্থক ধর্মীয় প্রসঙ্গ টেনে এনে বিষয়টিকে গুলিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন, যা দুর্ভাগ্যজনক।
প্রদীপ দত্তরায় pradip dutta roy আরো বলেন যে এটা সবাই জানেন যে দুর্গাপূজা durga puja ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গন্ডী ছাড়িয়ে সামগ্রিক উৎসব হিসেবেই পরিচিত এবং শুধু বাঙালি নন, অসমিয়া,ডিমাসা, মনিপুরী, নেপালি সহ অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজো করে থাকেন।
তিনি বলেন যে বিহু অবশ্যই সাংস্কৃতিক উৎসব এবং এতেও বাঙালি সহ অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।তবে সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে যদি বিহু কমিটিকে যদি সরকারি অনুদান দেওয়া যায় তবে বিগত দিনে অসম সাহিত্য সভা থেকে শুরু করে বোরো,মিশিং,ডিমাসা ইত্যাদি সমস্ত সাহিত্য সভাকে সরকারি অনুদান দেওয়া হলেও কেন বাঙালি সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন বঞ্চিত রইল – এই প্রশ্নের জবাবও মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন এর থেকেই এটা স্পষ্ট যে রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকার শুধু বাঙালি বিরোধী নয় বরাকের আবেগও এদের কাছে মূল্যহীন। প্রদীপ বাবু pradip dutta roy এদিন বলেন আজ যে মুখ্যমন্ত্রী চাঁদা সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁর কাছে জিজ্ঞাস্য যে গত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য বিজেপি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাক্তি থেকে যে ২৭ কোটি টাকা তুলেছিল তা কি জুলুম করে চাঁদা তোলা নয় ?
তিনি আরো বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপূজায় সরকারি সাহায্য নাহয় নাই করলেন কিন্তু সরকারে আসার পর প্রথমবারের করিমগঞ্জ সফরে এসে তো অন্তত করিমগঞ্জের প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজের ব্যাপারে কোন আশ্বাসবানী শোনাতে পারতেন।
শুধু সরকারি অবহেলায় এই প্রকল্প গত তিন বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় একই দিনে ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা থাকলেও এই ব্যাপারে কিছুই শোনা গেলনা।
প্রদীপ বাবু pradip dutta roy এদিন প্রশ্ন তুলেন কি হল ইস্ট ওয়েস্ট করিডোরের বাকি কাজের ? একইভাবে মাল্টিমডেল লজিস্টিক পার্কের আজো কোন খবর নেই অথচ অনেক পরে প্রস্তাবিত হয়ে ত্রিপুরার সাভ্রুমে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
বিবেকানন্দ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, শিলচরের উড়ালপুল, আইটি পার্ক এসব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব! একই ভাবে বরাকের দুই সাংসদ এবং যে পনের বিধায়ক রয়েছেন একমাত্র কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থ ছাড়া বাকিরা সবাই এসব নিয়ে নিশ্চুপ থেকে দিশপুরের তাবেদারী করে চলেছেন।
এমনকি দুর্গাপুজোয় durga puja সরকারি সাহায্যের ব্যাপারেও তাঁরা একটি কথাও বলেননি। এই হচ্ছে এদের তথাকথিত হিন্দু প্রেম। বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক এদিন বলেন বরাক বাসীকে তাই নিজেদের স্বার্থ চিন্তা করতে হবে এবং আগামীতে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।