নয়াদিল্লি: মণিপুরের পরিস্থিতি ভালো নয়। সময় যত যাচ্ছে আরো খারাপ হচ্ছে অবস্থা।
মেইতেই সম্প্রদায়ের দাবি—তফসিলি উপজাতি তকমা দিতে হবে।
রাজ্যের বিজেপি সরকারকে সেই দাবি বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই দাবির বিরোধিতায় সরব হয়ে ওঠে নাগা এবং কুকি উপজাতিরা। সে নিয়েই আগুন জ্বলছে উত্তর–পূর্বের এক রাজ্য মণিপুর।
অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। চারদিকে হিংসা ছড়াচ্ছে। আগেই বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট। শয়ে শয়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে।
পরিস্থিতি এমন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতেই সেনা নামিয়ে দিয়েছে মণিপুর সরকার। এদিকে, বৃহস্পতিবার কোনো কথা নয়, হিংসা দমন করতে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলির (শ্যুট অ্যাট সাইট) নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন।
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি লিখেছেন, ‘মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ও নির্বাচন অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু আমাদের সুন্দরী মণিপুরকে আগে রক্ষা করতে হবে। তাই মণিপুরকে রক্ষা করতে, শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি মণিপুরের ভাই–বোনেদের কাছে একতা, শান্তি ও সম্প্রীতি রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ৩৫৫ ধারা করল কেন্দ্র।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনও রাজ্যে বড়সড় রকমের অশান্তি হলে জারি হতে পারে ৩৫৫ ধারা। এই আইনের জোরে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা কেন্দ্র হাতে নিতে পারে।