মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন এআইইউডিএফ সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমল। সহস্রাধিক নেতা সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ধুবড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন তিনি। তৃতীয় পর্যায়ের লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের অন্তিম দিন ৪ এপ্রিল হলেও আজই মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন তিনি। বর্তমানে ধুবড়ি লোকসভা সমষ্টি আছে এআইইউডিএফের দখলে। ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন বদরুদ্দিন আজমল। এবারও এই কেন্দ্রে জয়ের পথ মসৃন করে তুলতে সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই কিছুটা আগেই তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, পুলোয়ামা বোমা বিস্ফোরণ ও পাকিস্থানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর গেরুয়া দলের প্রতি জনগণের সমর্থন বাড়তে পারে। এই আশংকা করে আটঘাট বেঁধে নির্বাচনে নামছেন তিনি। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস যাতে দূর্বল প্রার্থীদেয় সে চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এবার ধুবড়িতে এআইইউডিএফ প্রধানের জয় এত সহজ হবে না। কারণ বিজেপি মিত্রজোটের তরফ থেকে এখানে প্রক্ষেপ করা হচ্ছে শক্তিশালী প্রার্থী। এখানে আজমলের বিরুদ্ধে লড়বেন শক্তিশালী অগপ নেতা জাভেদ ইসলাম। জাভেদ মানকাচরের প্রাক্তন বিধায়ক।
তাছাড়া কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন আঁতাত গেরুয়া বাহিনীর কাটা ঘায়ে নুন ছিটিয়েছেন আজমল। এর জবাব দিতে গেরুয়া বাহিনী ধুবড়িতে অল- আউট খেলবে একথা নিশ্চিত। অপর দিকে পূর্বে কংগ্রেসের দূর্গ হিসেবে পরিচিত “ধুবড়ি” ফিরে পেতে কংগ্রেস কী ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাও হবে লক্ষণীয়। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি কংগ্রেস।