আরও একজনের মৃত্যু হল ডিটেনশন ক্যাম্পে। অমৃত দাস(৬৭)বরপেটা জেলার বরপেটা রোডের ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন।
বিদেশি ন্যায়াধিকরণ অমৃত দাসকে বিদেশি সনাক্ত করার পর ২০১৭ সালের ২০ মে’র থেকে তিনি গোয়ালপাড়া জেলার ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন।
সূত্রের মতে, ২০১৭ সাল থেকে মোট দু বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকাকালিন তিনি তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। অবশেষে শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গেছে, অমৃত দাস ২০১৮ সাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। বহুবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।
অমৃত দাস শনিবার পুনরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টা ২৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। মরণোত্তর পরীক্ষা শেষে তাঁর নশ্বরদেহ পরিবারের লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অমৃত দাসের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে ‘সদৌ অসম বাঙালি ঐক্যমঞ্চ’। ঐক্যমঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয় যে, প্রকৃত ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও অমৃত দাসকে আটক করে রাখা হয়েছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, মৃত্যুর পর তাঁর নশ্বর দেহ আবার পরিবারের লোকদের হাতেই তুলে দেওয়া হল।
তাঁদের প্রশ্ন, অমৃত দাস যদি সত্যিই বিদেশি হতেন, তাহলে কেন তাঁকে তাঁর নিজের দেশে পাঠানো হল না? কিন্তু তা না করে তাঁকে রাখা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে? আবার তাঁর মৃত্যুর পর কেন তাঁর পরিবারের লোকদের হাতেই সঁপে দেওয়া হল তাঁর নশ্বরদেহ?
‘সারা অসম বাঙালি ঐক্যমঞ্চ’ তরফে বলা হয়, যেখানে অমৃত দাস বিদেশি বলে ঘোষিত হয়েছেন। সেই অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ কি করে পরিবারের লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হল?