ওপার বাংলায় ২৩ বছর পূর্বে নিরুদ্দেশ হওয়া মানসিক প্রতিবন্ধী এক বাংলাদেশী দুর্ঘটনাক্রমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছিলেন ভারতে। ২৩ বছর পর অবশেষে অসমের তেজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর পরিবারের। ৫৫ বছর বয়সী আজহার পেয়াদা এখন সুস্থ।
আগামী মাসেই ফিরছেন বাংলাদেশে, জানিয়েছেন তেজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মৃন্ময় দাওকা ।
আজহার বলেন, ‘আমি আমার দেশের বাড়ি যেতে চাই। আমি মায়ের সঙ্গে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি।’
আজহার খুলনার সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা । পিতা আবদুল করিম ও মা মোমেনা খাতুন ।
আজহার যখন হারিয়ে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর ছোটভাই ইকবাল পেয়াদা ছিলেন শিশু। কিন্তু ভাইয়ের খোঁজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতিনিয়ত । অবশেষে দুই যুগের মাথায় ভাইকে আবিষ্কার করলেন আসামের তেজপুর কারাগারে ।
ইকবাল বলেন, ‘মা আমাকে বলেছিলেন যে, আমার ভাই ছিল মানসিক রোগী। ২৩ বছর ধরে নিখোঁজ। যখন আমি ছোট ছিলাম, সে কোনোভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে। আমি আজ তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ দেখতে পেয়ে খুব খুশি। আমার সঙ্গে তার অনেকক্ষণ কথা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তাঁকে অসমের ধেমাজি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুলক্রমে ভারতে ঢুকে পড়ার পর আজহার কয়েক বছর আসামে ছিলেন। এরপর আসামের ধেমাজিতে তিনি ২০১৫ সালে ধরা পড়েন। ওই বছরের নভেম্বরে তাঁকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২ বছরের সাজা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বরে তাঁর সাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়।
এরপর দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তেজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু মানসিক প্রতিবন্ধকতার জন্যে নিজের কোন ঠিকানাই দিতে পারছিলেন না আজহার। সেজন্য তাঁকে কারাগারেই রাখা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা করান।