ডিব্রুগড়: অসম চা মজদুর সংঘ (ACMS) বুধবার অসংগঠিত চা শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের দাবি জানিয়েছে। Assam সরকার সম্প্রতি চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে । বড় এবং ছোট চা বাগানে কাজ করা শ্ৰমিকদের মজুরি বাড়িয়ে ২৩২ টাকা করা হয়েছে। তবে রাজ্যের ছোট ছোট (Assam tea garden) চা বাগানের শ্ৰমিকরা এখনও অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাই শ্ৰমিকদের সরব হলেন ACMS (অসম চা মজদুর সংঘ)-র সভাপতি পবন সিং ঘটোয়ার।
ACMS অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে, ACMS সভাপতি পবন সিং ঘটোয়ার বলেন, “আমরা দাবি করছি যে একজন চা বাগানের শ্রমিক তার দৈনিক মজুরি ছাড়াও বিভিন্ন সুবিধা পান। ছোট চা বাগানের শ্রমিকরা জানে না চা বাগানের (Assam tea garden) শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি। ছোট চা বাগানে কর্মরত চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি এবং তিনি তা বাড়িয়ে ২৩২ টাকা পর্যন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন- অসমে কমপক্ষে ১ লক্ষ ছোট (Assam tea garden) চা বাগান রয়েছে এবং মোট ৫ লক্ষ শ্রমিক বাগানগুলিতে কাজ করছেন। কম মজুরির কারণে তারা তাদের সংসার চালাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি বলেন, “তাদের প্রতি মাসে ৫৯ পয়সা ভর্তুকি হারে ৩২কেজি চাল, প্রতি বছর ২২৮ সিএফটি জ্বালানী কাঠ বা নগদ ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা, আবাসন সুবিধা বা প্রতি মাসে ৩০০ টাকা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়, প্ৰতি মাসে ৬০০ গ্ৰাম করে চা পাতা দেওয়া হয়।
বার্ষিক বোনাস সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত, দুই সন্তান পর্যন্ত ৬ মাসের প্রদত্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি। ১৫ দিন প্রদত্ত বার্ষিক ছুটি, ১৪ দিনের অসুস্থ ছুটি, ১.৫ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা অবসরের সময় গ্র্যাচুইটি হিসাবে এবং ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার ভবিষ্যৎ তহবিল দেওয়া হয়।
তিনি এও বলেন- অসংগঠিত ক্ষেত্রের (Tea Worker) চা শ্রমিকরা ২৫ থেকে ৩০ বছর কাজ করার পরেও একটি পয়সা বা সুবিধা পান না। তাই ছোট চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম নিয়ে আসা খুবই প্ৰয়োজনীয় বলে তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে, অসমের ছোট ছোট চা বাগান মালিকরা (Tea Worker) শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অসমের ছোট চা বাগানের মালিকরা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানোর রাজ্য সরকারের ‘একতরফা’ সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।