জীবনদায়ী ওষুধের দোকানে জীবন নাশক ড্রাগস। হাইলাকান্দি এস কে রায় অসামরিক হাসপাতালের পাশের ফার্মাসি থেকে উদ্ধার তিন শতাধিক নেশা যুক্ত নিষিদ্ধ কফ সিরাপের বোতল। গ্রেপ্তার হাইলাকান্দি শহরের ‘রাজধানী মেডিক্যাল হল’-র স্বত্তাধিকারী সৈয়দ আহমদ বড়ভূইয়া।
হাইলাকান্দি পুলিশের বিরাট সাফল্য। শহরের এক ফার্মাসি থেকে উদ্ধার নিষিদ্ধ কফ সিরাপ।
শনিবার রাতে হাইলাকান্দি শহরের লালা রোডের কাটলিছড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাইলাকান্দি পুলিশ জব্দ করে মোট ৩৮৬ বোতল নেশা জাতীয় কফ সিরাপ “করেক্স”।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাইলাকান্দি সদর থানার টাউন দারোগা এস সাংলই, দুই কনস্টেবল রিপন মজুমদার ও আব্দুল আজিজ শনিবার রাত আনুমানিক এগারোটা নাগাদ অভিযান চালান এস কে রায় অসামরিক হাসপাতালের উল্টো দিকে থাকা “রাজধানী মেডিক্যাল হল” নামের ফার্মাসিতে।
এখানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৩৮৬ বোতল “করেক্স” কফ সিরাপ। সঙ্গে পাকড়াও করা হয় ওই ফার্মেসি-র মালিক সৈয়দ আহমদ বড়ভূইয়াকে।
নেশা জাতীয় কফ সিরাপ জব্দ করে দোকান মালিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
হাইলাকান্দি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত টাউন দারোগা এস সাংলই জানিয়েছেন, মোট পাঁচটি কার্টুনে ৩৮৬ বোতল নেশা জাতীয় কফ সিরাপ “করেক্স ” মজুত ছিল। এসবের বাজার মূল্য প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা হবে। অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তদন্তকারী পুলিশ সাংলই আরও জানান, নেশা জাতীয় এসব কফ সিরাপ সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে এই ফার্মেসিতে মজুত ছিল। দোকান মালিক সৈয়দ আহমদ “করেক্স” নেশা জাতীয় কফ সিরাপ চড়া দামে বিক্রি করতেন।
জেরার মুখে সৈয়দ আহমদ স্বীকার করেছে, এসব নেশা জাতীয় কফ সিরাপ সরবরাহকারী পাণ্ডা করিমগঞ্জের। করিমগঞ্জের এক ওষুধ ব্যবসায়ী এসব কফ সিরাপ অবৈধভাবে বিক্রির জন্য তার ওষুধের দোকানে পাঠিয়ে দিতো।
রবিবার দিনভর ধৃত সৈয়দকে জিজ্ঞাসাবাদের চালিয়ে দুপুরে আদালতে তোলা হলে আদালত সৈয়দ আহমদ বড়ভূইয়াকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তবে করিমগঞ্জ পুলিশের সহযোগে মূল পান্ডাকে শীঘ্রই পুলিশ জালে পূরা হবে বলে পুলিশ আশাবাদী।