অবশেষে নিজের দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করা ২০ জন নাগিরক। আজ সকালে শিলচর থেকে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যেই তাদের করিমগঞ্জ সুতারকান্দি সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশের সিলেট, কিশোরগঞ্জ জেলার নাগরিক বলে জানা যায়। তাঁরা হলেন, শেখর নমশুদ্র, সুজিত চন্দ্র দাস, ইকবাল হুসেন তালুকদার, মঃ ইসাক আলি, আজিমুদ্দিন, সমির আহমেদ, আমেদ উদ্দিন, চান্দ আলি, আব্দুল গফুর, আব্দুল লতিফ, আলিম উদ্দিন, দ্বিগেন চন্দ্র দাস, রবীন্দ্র দাস, শ্বাহ আলি মিয়া, ফারুক মিয়া, ইব্রাহিম তালুকদার, সৈয়দ আল আমিন, রবিউল সর্দার, পরিমল জলদাস এবং আলোরানী দাস।
এই ২০ জন নাগরিকের মধ্যে ১৯ জন শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপন করা ডিটেনশন ক্যাম্পে ছিলেন । অন্যদিকে আলোরানী দাস কোকরাঝাড় ক্যাম্পে। তাকে দুদিন আগে কোকরাঝাড় থেকে শিলচর জেলে নিয়ে আসা হয়।
আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ করিমগঞ্জ পুলিশ শিলচর পৌঁছায়। একঘন্টার বেশি সময় লাগে নানা প্রক্রিয়াগত কাজকর্ম সেরে নিতে। পরে তারাই তাদের নিয়ে রওয়ানা হয় সুতারকান্দি সীমান্তের দিকে।
২০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ১ জন কাছাড় জেলায় ধরে পড়ে। ১ জন হাইলাকান্দিতে। বাকিরা করিমগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়েন।
নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা, আলোরানী দাস জানান, আড়াই বছর আগে তাঁর দিদির শরীর খারাপ হওয়ার খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু বদরপুরে ট্রেনে ধরা পড়ে যান। সে থেকে কোকরাঝাড় জেলে দিন কাটান তিনি। দিদির শরীর কেমন আছে, বাড়িতে স্বামী-ছেলে মেয়েরা কি করছে কিছুই জানেন না আলোদেবী। দিদির সঙ্গে আর দেখা হবে কি না, অনিশ্চয়তায় তিনি। তবে নোয়াখালির বাড়িতে ফিরেছেন, এ নিয়েই আপাতত খুশি আলোরানী দাস।
বাংলাদেশের নাগরিকের বাড়ির ঠিকানা সঠিক ভাবে পরীক্ষানিরীক্ষার পরই নিজের দেশের মানুষ বলে নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মতি জানায়। আজ তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্তে গ্রহণ করবে বিডিআর। পরে তাদের নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।