অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে অসমের শিলচর এবং কোকরাঝারের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দীদশা কাটানোর পর তাদের আগামিকাল মুক্তি দিচ্ছে ভারত।
উল্লেখ্য, ৪ মে মুক্তি দিতে চলা ভারতে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ২০ জন। করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বিডিআরএ’র হাতে তাঁদের হস্তান্তর করা হবে। অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশের শিলেট, কিশোরগঞ্জ জেলার নাগরিক।
৪ মে’ বাংলাদেশের হাতে হস্তান্তর করতে চলা বাংলাদেশের নাগরিকরা হলেন, শেখর নমশুদ্র, সুজিত চন্দ্র দাস, ইকবাল হুসেন তালুকদার, মঃ ইসাক আলি, আজিমুদ্দিন, সমির আহমেদ, আমেদ উদ্দিন, চান্দ আলি, আব্দুল গফুর, আব্দুল লতিফ, আলিম উদ্দিন, দ্বিগেন চন্দ্র দাস, রবীন্দ্র দাস, শ্বাহ আলি মিয়া, ফারুক মিয়া, ইব্রাহিম তালুকদার, সৈয়দ আল আমিন, রবিউল সর্দার, পরিমল জলদাস এবং আলোরানী দাস। এই ২০ জন নাগরিকের মধ্যে ১৯ জন শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপন করা ডিটেনশন ক্যাম্পে রয়েছেন । অন্যদিকে আলোরানী দাস কোকরাঝার ক্যাম্পে ।
বাংলাদেশের গুয়াহাটিতে থাকা সহকারি উচ্চ আয়ুক্ত ২০ জন বাংলাদেশের নাগরিকের বাড়ির ঠিকানা সঠিক ভাবে পরোক্ষা করার পর তাদের আগামিকাল মুক্তির কথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে আলোরানী দাসকে কোকরাঝার থেকে শিলচর ক্যাম্পে আনা হয়েছে বলে জানা যায়। ১৯ জনের সঙ্গে আলোরানীকেও একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে আগামিকাল।
উল্লেখ্য, ২০ জন বাংলাদেশের নাগরিক ভারতে কারাবাসের মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার পরও বহু বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করেছেন নিদারুণভাবে।