নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তথা সিএএ’র প্রতিবাদে উত্তাল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, ত্রিপুরায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। অসমে বিগত ৭ দিন ধরে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখার ফলে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে গুয়াহাটির ১২ হাজার ওলা-উবের ড্রাইভারদের মধ্যে।
বিগত সপ্তাহের বুধবার থেকে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ফলে এই ক্যাব ড্রাইভারদের পরিবারে আর্থিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
‘এনআরসি’ পূর্বেও অসমের জনসাধারনকে মৃত করে তুলেছিল। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তথা সিএএ সাধারণ নাগরিকের অবস্থা বেহাল করে তুলেছে।
যদি মহানগরে শীঘ্রই ইন্টারনেট সেবা চালু করা না হয়, তাহলে সমস্ত ওলা-উবের ড্রাইভাররা রাজপথে নেমে তীব্র প্রতিবাদী কার্যসূচি গ্রহণ করবে বলে হুংকার দিয়েছেন ‘অল আসাম ক্যাব অপারেটর্স ইউনিয়নের’ সভাপতি ইসমাইল আলি।
তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের উপার্জনের একমাত্র উৎস হচ্ছে ইন্টারনেট। কিন্তু সেই নেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখার ফলে ড্রাইভারদের জীবন শোচনীয় হয়ে পড়েছে। আমরা কিভাবে আমাদের পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেবো?”
একজন টেক্সি ড্রাইভার যদি একদিনে ১৫ ঘন্টা গাড়ি চালায় তাহলে তিনি ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা উপার্জন করে থাকেন।কিন্তু অধিকাংশ ড্রাইভারের মাসে ১০ হাজার টাকা চলে যায় EMI জমা দিতে। সুতরাং তাঁদের জন্যেও পরিবার প্রতিপালন করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
শুধু যে ড্রাইভারদেরই এমন শোচনীয় অবস্থা তা নয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হচ্ছে। যেহেতু ইন্টারনেট বর্তমান জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সুতরাং মোবাইল ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া পড়ুয়ারা লেখাপড়াও সম্পন্ন করতে পারছে না। যে কোন পরীক্ষার অনলাইন ফর্ম ফিল-আপ করা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা! বন্ধ ব্যাংকের পরিষেবা।