অসমে স্থাপন করা হবে ১০০০ বিদেশি ন্যায়াধীকরণ ।
উল্লেখ্য, অসম রাজ্যে বিদেশি সনাক্তকরণের লক্ষ্যে ১০০০ টি বিদেশি ন্যায়াধীকরণ স্থাপন করার জন্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উচ্চতম ন্যায়ালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে।
অসমের ডিটেনশ্যন কেম্পে আটক রয়েছেন বহু মানুষ। আটক হয়ে থাকা মানুষের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গতি করছে ! সে ভবিষ্যৎ নিরূপণের সঙ্গে জড়িত এক অভিযোগের শুনানিতে গতকাল ৯ মার্চ উচ্চতম ন্যায়ালয়ে এক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকার প্রতিনিধির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ২০০ টি বিদেশি ন্যায়াধীকরণ স্থাপন করা হবে এবং পরবর্তী কালে বাকিগুলো স্থাপন করা হবে বিভিন্ন পর্যায়ে।
এই সন্দর্ভে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং সঞ্জীব খান্নার বিচারপীঠ এমন বৃহৎ সংখ্যক ন্যায়াধীকরণ জন্যে ন্যায়াধীশ নিযুক্তি সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বিদেশি নাগরিকদের জন্যে গ্রহণ করা ব্যবস্থা সম্পর্কে উচ্চতম ন্যায়ালয়ের প্রশ্নে মহাধিবক্তা তুষার মেহতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা জারি রয়েছে।
মেহতা আদালতকে আরো জানিয়েছেন, গুয়াহাটিতে থাকা বাংলাদেশের উপ–উচ্চায়ুক্তকে ডিটেনশ্যন শিবিরে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অসমে ফরেনার্স ট্রাইবুনালের চিহ্ণিত বিদেশিদের ডিটেনশ্যন শিবিরে রাখা হয়। রাজ্যের ৬ টি ডিটেনশ্যন ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে ৯ শ জন বন্দি রয়েছেন। সম্প্রতি অমৃত দাস নামে এক ব্যক্তি গোয়ালপাড়া ডিটেনশ্যন ক্যাম্পে মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, ভোটার তালিকায় নাম, সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ সালে বরপেটা বাসিন্দা অমৃত দাসকে বিদেশি ঘোষণা করেছে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল।