গুয়াহাটিঃ আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। বাঁশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়াতে প্ৰতি বছর ১৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব বাঁশ দিবস পালন করা হয়। ২০০৯ সালে প্ৰথম বিশ্ব বাঁশ সংস্থা (World Bamboo Organization) ব্যাংককে এই দিবস ঘোষণা করে।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
মানুষের মধ্যে বাঁশ সম্পর্কে জানতে, এটি ব্যবহার করে ব্যবসায় লাভ কিভাবে করা যায়, দৈনন্দিন ব্যবহারে বাঁশকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। বিশ্ব বাঁশ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বাঁশ এবং বাঁশের তৈরি সামগ্ৰীর ব্যবহার বাড়ানো। প্ৰাকৃতিক এই সম্পদ বাঁশের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Bambusodae বাম্বুসইডি। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঘরে ব্যবহৃত আসবাবপত্ৰ, ব্যাগ, কাপোড়, কাগজ তৈরি করা হয়।
বাঁশকে দরিদ্ৰের কাঠ অথবা সবুজ সোনা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বাঁশের গাছ প্ৰাকৃতিকভাবে যেকোনও জায়গায় হতে পারে। উত্তরপূর্ব ভারতে প্ৰায় ১১০ প্ৰকারের বাঁশ রয়েছে। মাটি ধরে রাখতে বাঁশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বন্যার সময় বাঁশ মাটিকে ধরে রাখতে পারে। বাঁশ গাছ শুকনো জমিতে গজে উঠলে তা জমির সংস্কারক হিসেবে কাজ করে।
বাঁশের কোড়ল খেলে তা শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে। নিয়মিত বাঁশের কোড়ল খেলে মানবদেহে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শরীরে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় থাকে। হৃদয় ভালো এবং সুস্থ থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাঁশের কোড়ল খেলে ডায়াবেটিস, হাঁপানী, মৃগী রোগ, মূর্ছা আর তীব্র জ্বরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বাজারে কিনতেই পাওয়া যায় বাঁশের কোড়ল।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
প্ৰত্যেক বছর World Bamboo Organization বাঁশ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়াতে বিভিন্নভাবে কাজ করে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্ৰাকৃতিক সম্পদকে সংরক্ষণ করা। এই বছর বিশ্ব বাঁশ সংস্থা বিশ্ব বাঁশ দিবসের স্বীকৃতিতে নতুন হ্যাশট্যাগ প্রবর্তন করছে: #PlantBamboo। বর্তমানে উদ্ভাবন এবং অগ্রগতির কারণে বাঁশ আরও আধুনিক দর্শকদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে।
ক্ষয়প্রাপ্ত জমি পুনরুদ্ধার, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব হ্রাস এবং দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য বাঁশকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তাই বাঁশ চাষের উপযুক্ত অনুশীলনের প্ৰয়োজন রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন প্ৰকৃতিবীদরা।