গুয়াহাটি: আগামিকাল ৮ মার্চ, নারী দিবস। প্রস্তুত হচ্ছে মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান রয়েছে নারী দিবস উপলক্ষে।
এখন নারী দিবস বললেও একটা আলাদা অনুভব বা কথা চলে আসে। আর কত নারী দিবস! আর কত উপদেশ! তবুও তো দেখা যায় কত অত্যাচার, কত কী।
সবচেয়ে প্রথম এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যতটা সম্ভব পুরোদমে লড়তে হবে। সমাজে যেটা জরুরি তা হচ্ছে নারীর লজ্জা এবং ভয় এই দুটো ভাঙতেই হবে যদি এগিয়ে যেতে হয়।
ভয় করলেই ভয়, নইলে কিছু নয়। তুমি আত্মনির্ভরশীল হও, আত্মাভিমানী হও, আত্মসম্মানী, স্বনামধন্য হও। এমন বিছানার নীচে, দরজার কোণে লুকিয়ে থাকতে তো তোমার এখন লজ্জা হওয়া উচিৎ!
তবে কেন এখনো সে লজ্জাবোধ এলো না? কেন এখনো ঘোমটার আড়ালেই তোমার লজ্জাবনত মুখটা দেখতে পাই? তুমি কী জানো না, পুরুষতান্ত্রিক শুধু পুরুষই নয়, মেয়েরাও হয়? তবে কেন পাশের পুরুষটিকে অবিরাম দোষ দিয়ে থাকো? তোমার সঙ্গে চলা মেয়েটিও যে পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী!
তুমি নিজের মনের শেকল ভাঙো আগে নারী। তোমার যা ইচ্ছে তুমি তাই করো, তুমি চুল ছেঁটে ফেলো, তুমি নিরলংকার হও, তুমি মন মুক্ত করো !
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পাল্টাবে, পাল্টে যাবে, শুধু তুমি সাহস করো একটিবার!
স্বাধীনতার অপর নাম যদি নষ্টামি হয়, তবে আমি তাই, আমি তাই। আমি নষ্ট হতে রাজি, আমি নষ্ট হতে রাজি!