গুয়াহাটিঃ সামনেই আসছে বড়দিনের উৎসব। ক্ৰিসমাস ট্ৰি (Christmas Tree) ছাড়া বড়দিনের কথা ভাবাই যায় না। বড়দিনে এই ক্ৰিসমাস ট্ৰি ব্যবহার করার পেছনে একটা কারণ রয়েছে। কয়েক হাজার বছর আগে উত্তর উইরোপে প্ৰথম ক্ৰিসমাস ট্ৰি সাজানোর প্ৰথা শুরু হয়। কারণ এই গাছকে সুখ ও সম্বৃদ্ধির প্ৰতীক হিসেবে ধরা হয়। সেখানকার মানুষরা বিশ্বাস করতেন, এই গাছ অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায়। আর সেই কারণেই এই ক্ৰিসমাস ট্ৰি বড়দিনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
পশ্চিমী দেশগুলোর পাশাপাশি ভারতেও বড়দিন বেশ জাকজমকভাবে পালন করা হয়। চারদিক সেজে ওঠে আলোর মালায়। কেউ বাড়ি সাজাচ্ছেন রকমারী আলোয় আবার কেউ সাজাচ্ছেন ক্ৰিসমাস ট্ৰি(Christmas Tree)।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
বড়দিনের উৎসবে ক্ৰিসমাস ট্ৰি বা এক্সমাস ট্ৰি(Xmas Tree) চারদিকে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস, এই গাছ যত সুন্দর করে সাজানো যায়, আগামী বছর তত ভালো যাবে। যীশুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ক্ৰিসমাস ট্ৰি আরও সুন্দর করে তুলতে ক্ৰিসমাস বল, ক্ৰিসমাস বেল, রিবন, ক্যান্ডি, মোজা লাগানো হয়। বড়দিনে পাইন এবং দেবদারু গাছগুলোকে সৌভাগ্যের প্ৰতীক মনে করা হয়। যীশুর জন্মের বহু আগে থেকে এই রীতি প্ৰচলিত।
এতে নাকি অশুভ শক্তি দূর হয়, এমন মনে করা হত। পরে জার্মানিতে প্রথম ক্রিসমাস ট্রি (Christmas Tree) সাজানোর রীতি চালুন হয়। তারাই প্রথম বড়দিনের দিন আলো দিয়ে গাছ সাজাতেন। গাছের ওপর একটি তারা রাখতেন। যা যীশু খ্রিস্টের প্রতিক।
এভাবেই ধীরে ধীরে দেশে বড়দিনের উৎসবে ক্ৰিসমাস ট্ৰি (Christmas Tree) সাজানোর রীতি চালু হয়।