গুয়াহাটি: কতদিন ভালবাসবে?
উত্তর: মরণ পর্যন্ত।
কতটুকু ভালোবাসো?
উত্তর: ভালোবাসার কোন মাপকাঠি হয় না।
আজীবন থাকবে তো?
উত্তর: প্রতিজ্ঞা করলাম, থাকবো।
এমন প্রতিজ্ঞা আজকাল অহরহ, রাস্তাঘাটে শুনতে পাওয়া যায়। চারদিকে এতসব ঘটনা একটার পর একটা ঘটে চলেছে যে, এই কথা, এই প্রতিজ্ঞা, এই কষ্ট করা সবকিছুকে পানসে মনে হয়।
কথাগুলো অবসাদের নয়, কথাগুলো বাস্তব। আর যত বাস্তব কথা আপনি বলবেন, তত বেশি রুক্ষ হবে শুনতে। ভীষণ রুক্ষ।
দেখুন না বাংলাদেশের খায়রুন নাহার আর মামুনের ঘটনা। কী থেকে কী হয়ে গেল। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল আগেই খায়রুন নাহারের। অবশেষে মামুনের সাথে প্রেম, বিয়ে। ৪১ আর ২২ বছরের প্রেম। বয়স ব্যাপার না।
কিন্তু খায়রুন নাহার কি আত্মহত্যাই করেছেন নাকি তাঁকে মেরেই ফেলা হয়েছে, কে জানে! কিন্তু দেখুন, খায়রুন একটি ভিডিওতে এমনও বলেছিলেন, তাঁরা ভালো আছেন, সুখে আছেন। কিন্তু এত সুখের মাঝেও ঘটে গেল একটা অঘটন। সেটা হোক হত্যা হোক কী আত্মহত্যা।
খায়রুন কার্যত একজন শিক্ষিত এবং চাকুরিজীবী মহিলা ছিলেন। কিন্তু তিনিও হয়তো ভিতরে ভিতরে একাকিত্বে ভুগছিলেন, সঙ্গীর প্রয়োজন ছিল। নিজের স্বাধীনতাকে নিজে উদযাপন করতে পারেননি, নিজেকে ভালো রাখতে নিজে জানেননি, আজ হয়তো এমন পরিণতি হতো না তাঁর।
এমন কত নারী আছে কিন্তু চারপাশে। পুরুষও আছে। আসলে নিজের ভালো লাগা, ভালো থাকার ব্যাপারটা যদি অন্যের হাতে তুলে দেয়া হয় তাহলেই সর্বনাশ হবে। নিজেকে নিজে ভালো রাখা শিখতে হবে, নিজের ভালোলাগার ব্যাপার অন্যের হাতে তুলে দেবেন না।
এত প্রেম, এত ভালোবাসার ছড়াছড়ি চারদিকে তাহলে কেন এত হানাহানি! কেন হত্যা! কেন মনখারাপ! একজন আরেকজনকে কতদিন ভালো রাখে? যারা রাখে তারা রাখে, তাদের এ তালিকায় টানি না।
আবারো বলি, মনটাকে যত্ন করে কারো হাতে তুলে দেবেন না। মন মরে যাবে। আর একবার মন মরে গেলে আর তরতাজা করা খুব কঠিন।
মনের মানুষ আছে, থাক– তাকে নিজের এনার্জি, সময়, পরিশ্রম ব্যায় করে ভালোবেসে গেলেন, কিন্তু প্রতি-উত্তরে তিনি আপনার মনের খেয়াল নিলেন না। আর অবহেলা, অযত্ন পেতে পেতে মন মরে যাবে।
মনের যত্ন নিন। অসুবিধা হলে সোজাসুজি মনের মানুষকে জানান। যদি না শোনেন তিনি তাহলে এঅটাই কথা বলবো, নিজের মনটাকে সরিয়ে নিয়ে আসুন সপাটে।