গুয়াহাটিঃ গোটা বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষের প্ৰথম এবং প্ৰধান খাদ্য হচ্ছে ভাত (Rice)। বাঙালির কাছে ভাত (Rice) পেট ভরানোর প্ৰথম উপাদান। কলে ভাঙানো যে চাল বাজারে পাওয়া যায়, তা মসৃণ করতে গিয়ে অতিপ্ৰয়োজনীয় কিছু উপাদান বাদ পড়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, খনিজ লবণ, বায়োটিন, আমিষ, চর্বি, ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইবার। Polished Rice-এ আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ এবং ই চলে যায়।
তবে ঢেঁকিছাঁটা চালে (Unpolished rice) এসবের খামতি থাকে না। এক কাপ ঢেঁকিছাঁটা চালে ৭৮ মিলিগ্ৰাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। বিপরীতে কলে ভাঙানো চালে থাকে মাত্ৰা ১৯ মিলিগ্ৰাম। এককাপ ভাতে আমাদের দৈনন্দিন চাহিদার শতকরা ৮০ ভাগ ম্যাঙ্গানিজ থাকে। ম্যাঙ্গানিজ স্নায়ু ও প্ৰজননতন্ত্ৰের (Reproductive system) কার্যক্ৰমে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ঢেঁকিছাঁটা চালে (Unpolished rice) ৩ গ্ৰাম ফাইবারের বিপরীতে কলে ভাঙানো চালে ফাইবার একেবারেই থাকে না। ঢেঁকিছাঁটা চালে সেলেনিয়াম নামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যা হৃদরোগ, ক্যান্সার ও বাতের ঝুঁকি কমায়।
জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে ডায়াবিটিস (Diabetes) বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল পালিশ করা চালের ভাত খাওয়া। এর পরিবর্তে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেলে ডায়াবিটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্ৰণে থাকে। ঢেঁকিছাঁটা চাল খেলে তাতে প্ৰোটিন ও কার্বোহাইড্ৰেটের পরিমাণ ঠিক থাকে। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই পুষ্টির দিকটিকে অবহেলা করেন। চিকিৎসকের কথায়, এই চাল শরীরে পুষ্টির পরিমাণ ঠিক রাখে।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন – ঢেঁকিছাঁটা চালের (Rice without polish) ভাত খেলে হাঁটু ও কোমরের বিভিন্ন সংযোগের ব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্ৰণে থাকে।