গুয়াহাটি: জীবনে এক একটা সময় আসে যখন অপমানিত হতে হতে মন তেঁতো হয়ে যায়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতেই হয়। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোটা কিন্তু ভয়াবহ হয়।
কয়েকটি বিষয় খুব চোখে পড়ে বা সচরাচর হয়ে চলেছে। যেগুলো নিয়ে আর কথা না বললেই নয়।
আমাদের দেশে বা এই উপমহাদেশেই অপর ব্যক্তিকে সম্মান করা হয় ‘সম্মান করতেই হবে’ বলে। যোগ্যতা,কর্মে যে সম্মান পাওয়া উচিৎ সেটার ধারেকাছেও না থেকে তারা ‘শুধু বয়সে বড়’ বলে সম্মান পায়!
আসলে মনে করা হয় এটাই রীতি, ব্যক্তিপূজার রীতি। আর এটা পেয়ে পেয়ে তারা এমন হয়েছে যে একটু কোথাও লাগলেই আপনাকে ধুয়ে ফেলবে।
সম্মান না দিলেই কথা শুনতে হবে আপনাকে। তখনই চলে আসবে নানান প্রশ্ন।
— মা কী শিক্ষা দিল? পড়াশোনা করে এই কথাবার্তা??? এতটুকু বয়স আর এত কথা!!? এগুলো নিশ্চয়ই বিশেষ করে আমাদের মেয়েরা শুনেছে বা শোনে। আসলে এগুলো সবই আপনাকে দাবিয়ে রাখার প্রপাগান্ডা।
আসলে অপরকে সম্মান করতে হয় বয়স দেখে নয়, সে যদি হাঁটুর বয়সিও হয় তবুও সম্মান করা উচিৎ তার কাজেকর্মে, দক্ষতায়, যোগ্যতায়, আচরণে, স্বভাবে। সম্মান পাওয়ার বা দেয়ার মাপকাঠি মোটেই বয়স নয়। দেখেশুনে সম্মান বেচবেন। সম্মান সস্তা না। যাকে প্রণাম করার তাঁকে ভক্তিভরে প্রণাম করবেন। মাকে প্রণাম করবেন। যারা সত্যিই নমস্য তাঁদের প্রণাম করুন। সম্মান করুন।