গুয়াহাটিঃ প্রথমেই যে কঠিন বাস্তব কথাটা বলবো সেটা হলো, সন্তান জন্ম দিলেই মা বাবা হয় না। আরো প্রচুর প্রচুর দায়িত্ব থেকে যায় তারপর। সন্তানকে নীতি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে ছোট থেকে। তাছাড়া শোনাতে হবে ব্যর্থতার গল্প। কারণ জীবনে প্রত্যেকটি পদক্ষেপে রয়েছে প্রতিকূলতা, ব্যর্থতা, সঙ্ঘাত—শেষে জয়।
ফলে মাঝখানের এই কাঁটার রাস্তাগুলো পেরনোর জন্যে তো মনের সাহসের প্রয়োজন আছে। তাছাড়া ছেলে বা মেয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়বে। সেই অবস্থা থেকে তারা যেন উঠতে পারে, আবার নতুন করে শুরু করতে পারে জীবন, সেই বাস্তব শিক্ষাটাই দিতে হবে।
জীবনে সাফল্য জরুরি, কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। ব্যর্থতার সম্মুখীন হতেও শেখাতে হবে ছোট থেকেই।মানুষ ব্যর্থ না হলে সাফল্যের কদরও করতে শেখে না।
সন্তানের সাথে সবসময় নিজেদের সমস্যা এবং ব্যর্থতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। মা-বাবারা সাধারণত তাদের সাফল্যের গল্পই সন্তানকে শুনিয়ে থাকেন। কিন্তু জীবনে ব্যর্থ হওয়ার গল্প, বা কীভাবে একটা জায়গা থেকে কষ্ট করে করে উপরে উঠতে হয়েছে সে গল্প শোনান না। ফলে সন্তানও শেখার কোন জায়গা পায় না। তারাও একসময় পরাজিত হয়ে আর উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকে না।
ব্যর্থতা যেন সন্তানকে কাবু করে ফেলতে না পারে,সেটা দেখুন মা বাবা হয়ে। পরিবেশটা সেরকম তৈরি করতে হবে। কোন ব্যর্থতাই যেনো বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় জীবনে।
মেয়ে বলে সন্তানকে অবহেলা করার মতো ভুল করবেন না। আপনি মেয়েকে যথাসাধ্য যত্ন নিন, মেয়ে একদিন তার দশগুণ ফিরিয়ে দেবে। ছেলে-মেয়ের তফাত করবেন না। ঘরে নুন ভাত থাকলে সেটা দিয়েই ভাত দিন, ছেলে সন্তানটির জন্যে আলাদা ডিমের ওমলেট করতে যাবেন না। ছেলে আর মেয়ে উভয়েই খাবে নুন ভাত।
একজন সন্তান যখন এমন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে বড় হবে তখন তার জীবনে আমূল পরিবর্তন আসবে।স্রোত যেদিকে সেদিকেই যে আমাকে যেতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। আমি স্রোতের বিপরীতে যাবো। সেই মানসিকতা গড়ে তুলুন।