গুয়াহাটিঃ শীতের দিন এলে বাচ্চাদের পাশাপাশি বয়স্কদেরও সমানভাবে (Winter care) যত্ন নিতে হয়। তাঁদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনের মধ্যে এক রকম ছেলেমানুষি কাজ করে। তাঁরা নিজেদের ক্ষেত্রে তেমন ভাবে যত্ন নিতে চান না। ফলে গরম জামা-কাপড়, ত্বকের যত্ন, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে খুবই ভুল ভাবে কাজ করে নিজেদের জন্য সমস্যা তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোক, কাছের মানুষ বা সন্তানরা যদি এই বিশেষ কয়েকটি বিষয়ে যত্নবান হন তাহলে সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
প্ৰতিনিধিত্বমূলক ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
শীতকালে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় যেটা সেটি হল শ্বাসকষ্ট বা টান। অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে এই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাছাড়া শীতকালে বাতাসে সবসময় ঠান্ডা হাওয়ার প্ৰবাহ বইতে থাকে। তা থেকে বয়স্কদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাইরে বেরোলে মাথায় টুপি, গরম জামা কাপড়, পায়ে মুজো (Winter care) এসব পড়তে হবে।
শাতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, তার জন্য সারাদিনে প্ৰচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। তরল খেতে হবে।
শীতকালে বয়স্কদের শরীরে ব্যথা বেদনা বেড়ে যায়। রিউমাটয়েড আর্থ্ৰাইটিস, অসটিওআথ্ৰাইটিস বা যে কোনও ডয়েন্ট পেনের সমস্যা হতে পারে। তার জন্য দরকার যতটা সম্ভব ঠান্ডার হাত থেকে দূরে থাকা।
শীতকালে বয়স্ক মানুষদের শুয়ে বা বসিয়ে না রেখে অর্থাৎ বিশ্ৰামে না রেখে কিছুটা সক্ৰিয় (Active) রাখা উচিত। এতে শরীর গরম থাকে। ঠান্ডা লাগার ভয় কম থাকে। তার জন্য অবশ্যই করা যায় হালকা ধরনের ব্যায়াম (light exercise)। বা ঘরের টুকটাক হালকা কাজ। প্ৰয়োজনে কিছুটা হাঁটাহাটিও করা যেতে পারে।
খাওয়া দাওয়াঃ শীতকালে সবুজ শাক সবজি (Winter vegetables) খাওয়া খুবই জরুরি। শীতকালে শাক সবিজর অভাব থাকে না। পালংশাক, আমলকি, টমেটো, ব্ৰকলি, গাজর। সবজি বেশি করে নিয়মিত খেতে হবে। অবশ্যই সেই সঙ্গে সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জল খেতে হবে (Winter care)। এতে হজম শক্তি বাড়ে। গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূর হয়।
ত্বকের যত্নঃ শীতকালে বয়স্কদের বলে কথা নয়, সকলেরই ত্বকের যত্ন (Winter skin care) নেওয়া জরুরি। কারণ শীতে বাতাসে আর্দ্ৰতা কম থাকা ফলে ত্বকের অবস্থা এমনিতেই শুষ্ক থাকে। নিয়মিত ক্ৰিম, তেল ব্যবহার করতে হবে।