কলকাতা: চলছে শরৎকাল। বসন্ত প্রেমের মরশুম তো বটেই, শরৎও প্রেমের মরশুম। পুজোর (Durga Puja) সময় আকাশে বাতাসে থাকে প্রেম আর প্রেম।
ছোটবেলায় দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সেই আনন্দমুখর দিনগুলোর কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে মন পোড়েও বটে।
ছোটবেলার দুর্গাপুজোর (Durga puja) সেই সময়গুলোর কথা মনে পড়ে। কত কম চাহিদা ছিল, অথচ কোটি টাকার আনন্দকেও ছাড়িয়ে যেত আমাদের আনন্দ। আনন্দ কখনোই টাকা দিয়ৈ পরিমাপ হয় না।
দুর্গাপুজোর (Durga Puja) বাজার আমাদের একমাস আগে থেকে কখনোই শুরু হতো না। সব কাজ শেষ করে, কিছু টাকা হাতে নিয়ে প্রায় দিন যেতে যেতে সপ্তমীর দিন আমাদের জামা কেনা হতো। আর জানা জুতো কিনে সে কী আনন্দ!
জুতোতে যেন একফোঁটা ধুলো না লাগে, পারলে নতুন জুতো রাখতাম বিচানার ওপর। আর নতুন জামা কাপড়ের গন্ধই আলাদা। কাউকে সেভাবে দেখানো হতো না, যদি পুরনো হয়ে যায়! একবারে পুজোর দিন (Durga Puja) জামা পরবো, সবাই দেখবে।
ষষ্ঠীর সকালে (Durga Puja) আগের বছরের একটি জামা পড়েই চলে যেতাম মণ্ডপে। বাঁশে দোল খাওয়া, একটু ঢাকে কাঠি দেয়া, পিস্তল কেনা, বেলুন এগুলো নিয়ে আসতাম।
আগেকার দিনে পিস্তলগুলোতে কাগজের ব্যোম ঢুকিয়ে ফাটানো হতো। রিল বেরিয়ে আসতে, আর ঠাস ঠাস শব্দ, বারুদের গন্ধ। সেই গন্ধ আজও নাকে ভেসে আসে। শিউলির গন্ধ, বারুদের গন্ধ আজও ভীষণ নস্টালজিক হয়ে যাই। আজ আর সেই সময় ফিরে পাবো না, কিন্তু মনে মনে ফিরে যাই।
বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতেও ভালো লাগে, তাদের আনন্দ আমাদের সোনালী দিনগুলোর কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
আনন্দের ধরন পাল্টে গিয়েছে ভীষণভাবে। আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া আর কোথাও কেউ আনন্দ পায় না। এখন সব আঙুলের খেলা। কতটুকু মনের খেলা আছে জানিনা। তবে আমরা যে সময় কাটিয়েছি তা অবর্ণনীয়।