গুয়াহাটিঃ চুলের অকালপক্বতা আমাদের কম বেশি প্ৰত্যেকেরই ব্যস্ত জীবনে বিরাট একটি সমস্যা। সৌন্দর্যে বাধার সৃষ্টি করে পাকা চুলের সমস্যা।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ডিক্সা ভাবসার সাভালিয়ার (Ayurveda expert Dr. Dixa Bhavsar Savaliya) মতে, তিনটি ভেষজ যা চুলের অকালপক্বতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তার মধ্যে রয়েছে আমলা (amla), কারি পাতা (curry leaves) এবং ভৃঙ্গরাজ (bhringaraj)।
Dr. Dixa Bhavsar Savaliya ব্যাখ্যা করেছেন – চুলের অকাল পক্বতা ঠেকাতে কীভাবে এই তিনটি ভেষজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিত্সক পরামর্শ দেন যে শীতের ঋতুতে প্রতিদিন একটি আমলকি খাওয়া শুধুমাত্র চুলের অকালপক্বতা দূর করাই নয়, এটি শরীরে বিপাক প্ৰক্ৰিয়াকেও ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শরীর থেকে দূষিত টক্সিন দূর করে আমলকি।
তাজা আমলকির রস দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা নারকেল তেল মাথায় মেসেজ করলে চুলের অকালপক্বতা দূর হয়।
সাভালিয়া লোকেদের চুলের মাস্কে একটি উপাদান হিসাবে আমলকির পাউডার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর চুল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিলি তাজা আমলকির রস পান করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
ডাক্তারের মতে চুলের অকালপক্বতা দূর করতে কারি পাতার হেয়ার কেয়ার প্যাকও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এক বা দুই কাপ নারকেল তেলের সাথে এক মুঠো কারি পাতা সিদ্ধ করার পরামর্শ দেন যতক্ষণ না পুরো মিশ্রণটি একটি গাঢ় রঙ ধারণ করে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে, এটি একটি কাচের পাত্রে ঢেলে রেখে দিন। তারপর তা মাথায় ভালোভাবে মেজেস করলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মেসেজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
Dr. Dixa Bhavsar Savaliyaর পরামর্শ মতে মিশ্ৰণটি মাথায় মেসেজ করে সারা রাত রেখে দিয়ে পরের দিন হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে ভাল ফল পাওয়া যায়।
ডাক্তারের মতে, ভৃঙ্গরাজ অকালপক্ব চুলের চিকিত্সার জন্য সেরা প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি এবং এই ভেষজটি কেশরঞ্জন বা চুলের প্রাকৃতিক রঙের এজেন্ট হিসাবেও পরিচিত।
চুলের প্রাকৃতিক রঙ পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু করার পাশাপাশি, ভ্রিঙ্গরাজ (Bhringaraj) মেটাবলিজমও ঠিক করতে সাহায্য করে।
সাভালিয়া পরামর্শ দেন যে চুলের স্বাভাবিক রঙ ধরে রাখতে, চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে হেয়ার প্যাকে Bhringaraj Powder যোগ করা যেতে পারে।
তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন- মাথায় ভৃঙ্গরাজের পেস্ট লাগিয়ে এটি আধা ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফললে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
চুলের যত্নে ভ্রিঙ্গরাজ তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মতে সপ্তাহে দুবার এই রুটিন অনুসরণ করা উচিত।