বাংলাদেশে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন

বাংলাদেশে গত তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে কাঁপছে দেশ। সকাল বেলা দাঁতে দাঁতে ঠুকাঠুকি শুরু হয়ে মানুষের। কষ্ট হয় কথা বলতে। শীতের কামড় থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যেতে চাচ্ছে না মানুষ।

আগের দুই দিনের তুলনায় শনিবার তাপমাত্রা আরও কমেছে। তবে কিছু এলাকায় বেড়েছেও। সঙ্গে কনকনে বাতাস আর কুয়াশার কারণে শীত আরও তীব্র হয়েছে। আজও একই আবহাওয়া থাকবে। সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে আশা করছে আবহাওয়া অফিস।

জানা গেছে, উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে দেশের মানুষ। ঘরের বাইরে পা রাখতেই শীতে জমে যাচ্ছে মানুষ। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৩ দিন যাবৎ সুর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কষ্ট পাচ্ছে।

এদিকে দেশের কোনও জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামার কারণে এ আবহাওয়াকে শৈত্যপ্রবাহ বলছেন না আবহাওয়াবিদরা। শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ফরিদপুরে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার একই এলাকা চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ঢাকায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩, একইভাবে শনিবার চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ৩, গত বৃহস্পতিবার ছিল ১৬, সিলেটে শনিবার ১৩ দশমিক ৫, গত বৃহস্পতিবার ছিল ১৫ দশমিক ৮, বরিশালে শনিবার ১০ দশমিক ৪, গত বৃহস্পতিবার ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে রাজশাহী ও রংপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। গতকাল রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৯ যা বৃহস্পতিবার ছিল ৯ দশমিক ৫। রংপুরে গতকাল তাপমাত্রা ১২, গত বৃহস্পতিবার ছিল ১১। আর খুলনার তাপমাত্রা আগের মতোই ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করছে। এছাড়া দেশের ১০ জেলার তাপমাত্রা গতকাল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালে প্রায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলা চলে।

আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার থাকবে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা আগের চেয় কিছু এলাকায় বেড়েছে। তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হলেও এখন কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই। আজও আবহাওয়া একই রকম থাকতে পারে। পরশু অর্থাৎ সোমবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।