অসম

দুর্গা ও কালি পূজার রেশ কাটিয়ে এবার ছটের আনন্দে মেতে উঠলো বরাক নদীতির

সূর্য উপাসনার উত্‍সব ছট। সুখ, সমৃদ্ধি, সন্তানের মঙ্গল তথা মনোবাঞ্ছা পূর্ণ-প্রাপ্তির জন্য এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

শুধু হিন্দিভাষী সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই উত্‍সব সীমাবদ্ধ নয়। ভাষার সীমানা ছাড়িয়ে এই উত্‍সব এখন বাঙালি, অসমিয়া, নেপালিদের মধ্যেও ছাড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার বিকাল থেকেই বদরপুর ঘাটের বরাক নদীর ধারে ছট পুজোর আরাধনায় ভক্তরা হাজির বহু ভক্ত।

রবিবার ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা আকাশ। কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ভক্তদের ভির লক্ষ্য করা যায় । ছট পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতেছিল আট থেকে আশি সকলেই। বরাক নদীর ধারে ঢাক ও বাজি পটকার আওয়াজে আনন্দে মেতেছিলেন সকলে।

সারাদিন উপবাস থেকে সূর্যাস্তের সময় ডালা ভর্তি অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। গোটা ফল ও নুন ছাড়া খাবার দেওয়া হয় কুলোর মধ্যে।

আজ রাত ভোর উপবাস থেকে সূর্য উদয়ের আগে আবার বরাক নদীর তীরে সবাই মিলিত হন এবং আরাধনা করেন সূর্য দেবের।

রীতি মেনে প্রতিটি স্থানে চলছে ছটপূজা। এদিকে বরাক নদীর কাটিগড়া বদরপুর ঘাটের উভয় তীরে শনিবার বিকাল থেকে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা ডালা-কুলা সাজিয়ে সূর্য দেবতার পূজা করেন।

প্রতিবছর কালী পূজার পর শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে বরাক নদীর তীরে এ আয়োজন করা হয়।গতকাল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বদরপুর ঘাটের বরাক নদী সংলগ্ন এলাকায় পালিত হয়েছে সূর্য পূজা। মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দূরীকরণ, বিভিন্ন মানত পূরণে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটে এই সূর্য পূজায়।

মঙ্গলবার বিকেলে পূজারীরা উপবাস থেকে ফুল, প্রসাদ, বাদ্য-বাজনাসহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী নিয়ে বরাক নদীর তীরে উপস্থিত হয়ে সূর্য অস্তের পূর্ব মুহুর্তে ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা নদীর পানিতে দাঁড়িয়ে ডালা-কুলায় সাজানো প্রসাদ নিয়ে পূজা করেন। সূর্য অস্তের পর সকলেই বাড়িতে ফিরে যান।

আজ ভোরে সূর্য স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সূর্য্ পূজা।প্রতিবছর কালী পূজার পর শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বরাক নদীতে অবাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা উদযাপন করে।

সূর্য পূজা করতে আসা এক পূজারি বলেন, আমরা সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতেই এই পূজা করে থাকি। এই পূজাকে ছট পূজাও বলা হয়। ছট পূজার মাধ্যমে সূর্য দেবতা সন্তুষ্ট হয় আর আমাদের মনোবাসনা, মনোকামনা পূরণ করে দেয়। এই আশায় আমরা প্রতিবছর এই ছট পূজা করতে আশি এই বরাক নদীর তীরে। এছাড়াও দেশ ও জাতিসহ সকলের শান্তি কামনায় এই পূজা করা হয় বলে জানান ভক্তপ্রাণ জনগণ।

অমলেন্দু মালাকার

Recent Posts

সাপ্তাহিক রাশিফল

মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সপ্তাহটি ভালোই হতে চলেছে। অর্থ উপার্জন হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।…

3 hours ago

বাংলাদেশে তাপদাহে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুনঈশ্বরদীতে রেললাইনের পাত বেঁকে গেছে

ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছর সীমাহীন তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরবোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে…

18 hours ago

আপনার আজকের দিনটি

সিংহ: আজকের দিনটি আপনার জন্য নতুন কিছু শেখার দিন হবে। ভাগ্যের দিক থেকে দিনটি ভালোই।…

1 day ago

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ঢাকা: বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২৫)…

2 days ago

ভোট দিলেন নারায়ণ মূর্তি

কলকাতা: ভারতে ৭ দফা ভোটের আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার সহ ১৩…

2 days ago

আজ সিংহের আর্থিক সফলতা কেমন?

সিংহ- দিনটি মোটামুটি কাটবে। তবে একটু সাবধান হবেন। সঙ্গীর সাথে লং ড্রাইভে যেতে পারেন। বিরোধীরা…

2 days ago