কলকাতার সুবিদিত জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরকে সশ্রদ্ধায় স্মরণ করল লন্ডনবাসী।
বেঙ্গলি হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও লন্ডন শারদোৎসব সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ‘ফরগটেন পাইওনিয়ার’ — দ্বারকানাথ ঠাকুর-এর স্মরণসভা।
১৮৪৬ সালে লন্ডনে প্রয়াত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুরের নশ্বরদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল কেনসাল গ্রিনে।
মানুষের দূর্বল স্মৃতির মতোই ভেঙে পড়ছিল উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের গ্র্যান্ড ইউনিয়ন ক্যানালের কেনসাল গ্রিন সমাধিক্ষেত্রে থাকা দ্বারকানাথ ঠাকুরের সমাধিস্থল। ২০১৮ সালে সমাধি ক্ষেত্রের সংস্কার কার্যে এগিয়ে আসে বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এবং লন্ডন শারদোৎসব সংস্থা।
স্মরণসভা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ পাঠ করে শুনিয়েছেন কৌশিক চ্যাটার্জি।
লন্ডন শারদোৎসব সংস্থার সভাপতি অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এনিয়ে দ্বিতীয়বার বেঙ্গলি হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও লন্ডন শারদোৎসব একসঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি উদ্যাপন করল। দ্বারকানাথ ঠাকুরের সমাধিস্থলের কথা যেভাবে ব্রিটেনে বসবাসরত ভারতীয়দের মধ্যে প্রচারিত হচ্ছে, তা দেখে আমরা অত্যন্ত খুশি।’
কেনসাল গ্রিন সমাধিক্ষেত্রে যে বিশ্বখ্যাত বাঙালি শায়িত, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন, হুগলীর তীরে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লব ঘটানোর। ব্রিটিশের পদলেহন অথবা তাঁদের দাসত্বে নয়, বরং তাঁদের সহযোগিতায় এ দেশের উন্নতি একান্তই সম্ভব। এ ছিল তাঁর অনুভব। সব রকম সেকেলে প্রথা, ধর্মান্ধতাকে তিনি ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়ে কালাপানি পেরিয়ে স্বপ্ন সঙ্গী করে পাড়ি দেন সুদূর বিলেতে।
অথচ বাঙালি আজ তাঁকে স্মরণ করে কেবল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুর্দা হিসেবে!