বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। জিয়া এতিমখানা এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুটি পৃথক রায়ে সাজা হওয়ার পর গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মোট ১৭ বছর কারাদন্ড ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। দলের মহাসচিব থেকে আরম্ভ করে দলের অন্যান্য সদস্যদের খালেদার মুক্তি আন্দলন কেবল এ মুখ থেকে ওমুখে ঘুরছে, কিন্তু কেইউ সাহস করে মাঠে নামতে পারছেন না। শুন্য মাঠে গোল দিচ্ছেন সকলেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায় যে, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেটুকু করা যায়, সেটুকুই যথেষ্ট। খালেদাকে ছাড়া দল যেভাবে চলছে, চলুক। অন্যদিকে বিপরীত সুরও শোনা যাছে।
বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন বিএনপি নেত্রী খালেদাকে আন্দোলন রাজপথে নেমে যারা প্রতিবাদ করতে পারছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদে ব্যর্থ নেতাদের দল ছেড়ে চলে যেতে বলেন। খালেদা জিয়াকে ছাড়া বি এন পি দলের মুখে কাদা লাগবে, দল মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই খালেদাকে প্রয়োজন।
বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু আইনি লড়াইয়ে কিচ্ছু হবে, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এদিকে খালেদা কে মুক্ত করার ব্যাপারে কূটনৈতিকবিদরাও হাত উঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁরাও জানিয়েছেন দলিয় নেতাদের সংসদে যেতে হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, দলের স্থায়ী সদস্য, তিনিও মির্জা ফক্রুলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলছেন খালেদার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছায় তাঁকে কারাবন্দি করে যেহেতু রাখা হয়েছে তাই সরকারি আইন অবলম্বন করে কিছু করা যাবে না।য় আইনের সাথে প্রতিবাদি কার্যসূচীই একমাত্র পারবে খালেদা কে মুক্তি দিতে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুবকদের দলভুক্ত করানোর কথাও ভাবছেন। শীর্ষ নেতাদের ভাষণে এখন আর কোন কাজ হবে না বলে জানান তিনি।